নিউজ ডেস্কঃ মরুভূমি ঘেরা রাজস্থান ভারতের ইতিহাসে বহু ঘটনার সাক্ষী হয়ে রয়েছে। বহু রাজা তাদের শাসন যুদ্ধ অনেক কিছুই ঘটেছে এই রাজস্থানের বুকে। আর যারা যাওনি নেই তাদের শাসন ও কিন্তু অবশেষ হিসাবে রয়ে গেছে বেশ কিছু প্রাসাদ।যার মধ্যে কিছু পরবর্তীকালে ঐতিহাসিক স্থানে পরিণত হয়েছে কিছু আবার হোটেলে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন পর্যটকদের অনেকেই এই সমস্ত হোটেলে রাত কাটান। হোটেল বলতো এক নিরাপদ আশ্রয়ের কথায় বোঝায়। কোথাও ঘুরতে গেলে ওই কটা দিনের জন্য যেন হোটেল ঈ হয়ে ওঠে আমাদের কাছে বাড়ি। তবে রাজস্থানে গিয়ে যদি কোন ঐতিহাসিক হোটেলে থাকার চিন্তা করেন তবে তার সম্পর্কে ভালো করে খোঁজ নিতে কিন্তু ভুলবেন না কারণ তা কিন্তু অশরীরী আত্মার বাসস্থান ও হতে পারে।শুনে অবাক লাগছে নিশ্চয়ই! তাহলে আসুন জেনে নিন রাজস্থানের ব্রিজরাজ ভবনের কথা।
178 বছর পুরনো ব্রিজ রাজ ভবন ছিল মূলত কোটা রাজপরিবারের বাসস্থান।কিন্তু ,পরবর্তীকালে ব্রিটিশ আমলে এখানে বসবাস শুরু করেন ব্রিটিশ সাহেবেরা। অবশেষে , 1980 সালে স্বাধীনতা লাভের পরে এই রাজপ্রাসাদ টি একটি হেরিটেজ হোটেলে রূপান্তরিত করা হয়। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে এই প্রাসাদেই ঘটে গেছে বেশ কিছু ভয়ঙ্কর ঘটনা,যার সাক্ষী ছিলো এই প্রাসাদের চার দেওয়াল।
ব্রিটিশ সরকারের কর্মচারী মেজর বার্টন প্রায় 13 বছর ধরে এই প্রাসাদে বসবাস করেছিলেন।কিন্তু,1857 সালে সিপাহী বিদ্রোহের সময় যখন চারিদিকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন পুঞ্জিভূত হয়েছিল সেই সময় কয়েকজন বিদ্রোহীর হাতে খুন হন পরিবার সহ তিনি।শোনা যায় এখনো নাকি এই বাড়ির মায়া কাটিয়ে উঠতে পারেনি তার আত্মা। এই ভবনে থাকা অনেকেই তাঁর অশরীরী আত্মার দেখা পেয়েছেন বলে জানা যায়। এমনকি কোটার রানী স্বয়ং তার অশরীরী আত্মা দেখতে পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছিলেন।রাত বাড়ার সাথে সাথেই এখানে অশরীরী আত্মার উপদ্রব বাড়ে। তবে,অশরীরী আত্মার দেখা এখানে প্রায়ই মিললেও তা কারোর ক্ষতি করে না বলেই জানা গেছে।