নিউজ ডেস্কঃ কথিত আছে যে “ যা নেই মহাভারতে, তা নেই ভূভারতে”। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন যে মহাভারত পড়লে বা জানলে আপনি এই বিশ্ব সংসার সম্পর্কে সবকিছুই জানতে পারবেন। মহাভারত এমনই কিছু জিনিসের আবিস্কার বা ব্যবহার হয়েছিল যা আজও মানুষের চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মহাভারত ঘাঁটলে পাণ্ডবদের আত্মত্যাগের কথাই আমরা বেশি জানতে পারি। নিজেদের পরিবার বা সন্তান থেকে শুরু করে অনেক কিছুই তাদের আত্মত্যাগ করতে হয়েছিল। ১৪ বছর তাদের অজ্ঞাতবাসে কাটাতে হয়। এবং সেই সময় দুর্যোধনের হাত থেকে বাঁচার জন্য তাদের একাধিক রুপ পরিবর্তন করতে হত বা ছদ্মবেশে কাটাতে হয়। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন যে কতোটা দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে তাদের দিন কেটেছিল। তবে একটা কথা ভেবে দেখেছেন যে সেই সময় তাদের যুদ্ধাস্ত্র কোথায় গোপন করেছিল? বা কোথায় রেখেছিল?
শমি বৃক্ষ। এই বৃক্ষে নিজেদের অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন পাণ্ডবরা। এই বৃক্ষের কোটরেই তারা দিনের পর দিন অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন।
আজ পাণ্ডবরা হয়ত এই পৃথিবীতে নেই বা তাদের বংশধররাও। তবে সেই গাছে আজও রয়ে গেছে এই পৃথিবীতে। শমি বৃক্ষ।
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিন দিনাজপুরেই পেয়ে যাবেন এই গাছ। পশ্চিমবঙ্গের হরিরামপুরের হাতিডুবা গ্রামেই রয়েছে। বর্তমানে এই গাছকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এক বিরাট পর্যটন কেন্দ্র।
অনেকের আবার প্রশ্ন যাবেন কি করে এখানে? দক্ষিন দিনাজপুর জেলার সদর শহর থেকে বাসে করে হাতিরামপুরে নামতে হবে, সেখান থেকে যেকোনো ছোট গাড়ি করে হাতিডুবা গ্রামে যেতে পারবেন।
বর্তমানে এই গাছ সেইভাবে দেখা না পেলেও এই গাছ একাধিক শুভ কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কবি কালিদাস শমি বৃক্ষের নীচে বসে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।
বাড়িতে শমি বৃক্ষ উপস্থাপনা করে পুজা করলে বাঁধা বিঘ্ন দূর হয়ে যায়।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে চোখের জন্য শমি বৃক্ষ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি অনেক রোগের ওষুধ তৈরিতে এই গাছ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
শমি বৃক্ষ গনেশের অতি প্রিয় বৃক্ষ বলেই পরিচিত। বর্তমানে গাছটি মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকে বেশ জনপ্রিয়। বর্তমানে বাঙালিদের নামের মধ্যে এই “শমি” নামটি প্রায়শয় শোনা যায়।