নিউজ ডেস্কঃ সর্বপ্রথম এইচআইভির রোগী পাওয়া যায়। আফ্রিকার মধ্যভাগে ক্যামেরুন রাষ্ট্রটি অবস্থিত।ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াওনডে এবং দৌয়ালা দেশের বৃহত্তম শহর। হাজার 960 সালে ক্যামেরুন স্বাধীনতা অর্জন করে। দেশটির উত্তরে চাদ হ্রদ, পূর্বে চাদ ও কেন্দ্রীয় আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণে কঙ্গো, গাবন ও বিষুবীয় গিনি এবং পশ্চিমে নাইজেরিয়া ও বিয়াফ্রা উপসাগর। ক্যামেরুনের সরকারি ভাষা হল ইংরেজি ও ফরাসি। দেশটির অফিসিয়াল নাম রিপাবলিক অফ ক্যামেরুন।
ক্যামেরুন দেশ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য হলো –
- সমগ্র আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে যে সকল দেশগুলিতে শিক্ষার হার বেশি তার মধ্যে ক্যামেরুন অন্যতম।
- ক্যামেরণ একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে মোরা দেশ। ক্যামেরুন আফ্রিকা মহাদেশের এমন একটি দেশ যেখানে বছরের 8 মাসে বৃষ্টিপাত হয়। দেশটিতে আছে ঘন জঙ্গল, পর্বত, মালভূমি, আগ্নেয়গিরি ও রেইনফরেস্ট ইত্যাদি। এ দেশের মানুষদের ক্যামেরুনিয়ান বলা হয়।
- এই দেশের মানুষের গড় বয়স 58 বছর। দেশটিতে বিভিন্ন জীবজন্তু পাওয়া যায় যেমন ক্রস রিভার গরিলা, দাড়িগোফওয়ালা বাঁদর, আফ্রিকান এলিফ্যান্ট ও চিতা।
- ক্যামেরুনে প্রচুর পরিমাণে কফি, কোকো, রাবার ও তুলো উৎপাদন হয়। এই দেশের মানুষেরা মূলত কাঠ ও গবাদি পশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে।
- ক্যামেরুন এমন একটি দেশ যেখানে এক হাজারেরও বেশি প্রজাতির প্রজাপতির লক্ষ্য করা যায়।
- পৃথিবীর সবথেকে বড় ব্যাং পাওয়া যায় ক্যামেরুন দেশে। এদের গলিঅড ফ্রক বলা হয়। এবং একমাত্র ক্যামেরুন দেশেই এই ব্যাং দেখা যায়। এর ওজন প্রায় একটি বড় বিড়ালের সমান। এবং এর উচ্চতা প্রায় এক থেকে পাঁচ ফুট হয়ে থাকে।
- ক্যামেরণ দেশে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায় যার জন্য এই দেশের অন্য কোন দেশ থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস ক্রয় করতে হয় না। ক্যামেরুন কে দা হিং অফ আফ্রিকা ও বলা হয়।
- HIV ও AIDS এর সর্ব প্রথম রোগী 1908 সালে ক্যামেরুন দেশে পাওয়া যায়। একটি শিম্পাঞ্জির মাধ্যমে এই রোগ সেই ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করে। এবং পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বেশি এইচআইভির রোগী ক্যামেরন দেশে পাওয়া যায়।
- আমেরিকা ক্যামেরুন দেশকে একটি ভয়ানক দেশ হিসেবে ঘোষিত করেছে। এই দেশে রয়েছে বিশাল বিশাল বড় জঙ্গি সংগঠন।
- এই দেশের বেশিরভাগ মানুষ ইসলাম ধর্ম ও খ্রিস্টান ধর্ম পালন।