ডি সুজা চলের ন্যায়ের মতো ভারতবর্ষের সেরা ১০টি ভয়ঙ্কর ভুতুড়ে জায়গা

নিউজ ডেস্কঃ ভূত আছে কি নেই এই প্রশ্নের কোনো উত্তর আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয় নি।তাই নিয়ে কথা বলতে গেলে শুধু তর্ক বিতর্ক চলতে থাকবে যার কোনো সমাপ্তি  ঘটবে না ।কারন একদল বিশ্বাস করে ভূত আছে আবার একদল বিশ্বাস করে ভূত নেই।তবে যারা বিশ্বাস করেন তাদেরকে বলি যে যেমন বলা যায় না যে ভূত আছে ঠিক তেমনি এটাও বলা যায় না যে ভূত নেই।কিন্তু ভারতে অবস্থিত এমন অনেক জায়গায় আছে যে সমস্ত জায়গাকে প্রশাসনের তরফ থেকেও হন্টেড প্লেসের  তকমা দেওয়া হয়েছে।তাই সেই সব জায়গার কথা শুনলে যারা ভূত বিশ্বাস করেন না তারাও বিশ্বাস করবেন।তাহলে জেনে নেওয়া যাক ওই সমস্ত জায়গা সম্পর্কে।

ডি’সুজা চল : মহারাষ্ট্রের মুম্বাই শহরে অবস্থিত এই আবাসন স্থলটি।এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি যে এই এলাকাতে রাতের বেলায় এক মহিলারা আত্মা ঘুরে বেড়ায়।তারা বিশ্বাস করে যে এই মহিলা্র  কোন এক সময় এই এলাকা পাত কুয়োতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল।এবং তারপর থেকেই এই মহিলার আত্মা রাতের বেলা ঘুরে বেড়ায় এই এলাকায়। 

অগ্রসেন কি বাওলি : দিল্লিতে অবস্থিত এই স্থানটিতেও উপস্থিত আছে তেনারা।এই দাবি করছেন এই স্থানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।এই পর্যটকদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন যে তারা যখন ওই পর্যটনস্থলে ঘুরতে যান, তখন তাদের মনে হয় তাদেরকে যেন কে অনুসরণ করছে।যা খুবই অস্বস্তিকর এক অনুভূতি।

লম্বি দেহার খনি : লম্বি দেহার খনিটি উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত।এক সময় এই খনিতে এক বিস্ফোরণের কারণে মৃত্যু হয়েছিল বহু শ্রমিকদের।এখানকার বাসিন্দারা দাবি করেন যে, আজও নাকি সেইসমস্ত মৃত শ্রমিকদের প্রেতাত্মার আর্তনাদ শোনা যায়।

জাতিঙ্গা :জাতিঙ্গা এই স্থানটি পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য অসমে রয়েছে।এই এলাকায় ঘটে এক  অদ্ভুত ঘটনা।যার কোন ব্যাখ্যা নেই।জানা যায় যে, যখনই কোনও পাখি  এই এলাকার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তখনই কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেইসমস্ত পাখিদের মৃত্যু হয়।জাঁকে জাঁকে পাখিরা  আকাশ থেকে মৃত অবস্থায় মাটিতে ঝরে পড়ে। ওখানকার বাসিন্দারা মনে করেন যে, এই ঘটনা ঘটার পিছনে রয়েছে ভূতের উপদ্রব।

দুমা সৈকত : দুমা সৈকত গুজরাট রাজ্যের এই সৈকতটি একসময়ের শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করা হত। বর্তমানে অবশ্য পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে সেই শ্মশান ।এই এলাকার স্থানিরা জানিয়েছেন যে, যাদেরকে ওই শ্মশানে দাহ করা হয়েছে,  আজও নাকি তাদের আত্মা ঘুরে বেড়ায় ওই শ্মশানে।

বম্বে হাই কোর্ট : তেনাদের উপদ্রবের থেকে বাদ যায় না বম্বে হাইকোর্টেও।এই আদালত চত্বরে বহু আসামিকে  দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড।এইজন্য মানুষের বিশ্বাস যে, আজও  এই আদালত চত্বরে ঘুরে বেড়ায়  ওই মৃত আসামিদের অভিশপ্ত আত্মা।

ডাউহিল  : পশ্চিমবঙ্গের কার্শিয়াংয়ের ডাউহিলে প্রচলিত রয়েছে ভূতের উপদ্রব নিয়ে নানা কথা।এই এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেন যে ডাউহিলের দুটি স্কুল এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে প্রচুর ভূতের উপস্থিতি রয়েছে। রাতের অন্ধকার নামলেই নাকি তেনারা বেরিয়ে আসে। 

রামোজি ফিল্ম সিটি : রামোজি ফিল্ম সিটি এই জায়গার নামটি শুনে অবাক হলেন।তবে এমনটি মনে করা হয় যে  বলিউডের এই শুটিং চত্বরে রয়েছে ভূতের উপদ্রব।ওই অঞ্চলটিতে সুলতানি আমলে বহু সেনাকে কবর দেওয়া হয়েছিল। আর এই সমাধিক্ষেত্রের উপরেই তৈরি করা হয়েছে রামোজি ফিল্ম সিটি। কোন কারণ ছাড়ায় নাকি হঠাৎ হঠাৎ আলো নিভে যায় এখানে আয়নার কাঁচ ভেঙ্গে পড়ে এই সমস্ত অদ্ভুত ঘটনা ঘটে এই শুটিং চত্বরে। 

কুলধারা গ্রাম :  এই গ্রামে ঘটেছিল এক অদ্ভুত ঘটনা। ১৮২৫ সালে হঠাৎই  রাতে  অন্ধকারে এই গ্রামের সমস্ত বাসিন্দারা দলবেঁধে পালিয়ে যান এই গ্রাম ছেড়ে। পুরো গ্রাম ফাঁকা হয়ে যায় রাতারাতি । এরপর থেকেই ওই গ্রামটিকে অভিশপ্ত গ্রামের হিসাবে মানা হয়ে থাকে।

ভানগড় কেল্লা :রাজস্থানের অবস্থিত ভানগড় কেল্লাকে ভারত তথা বিশ্বের সর্বাধিক ভয়ঙ্কর এবং অভিশপ্ত স্থান বলা হয়ে থাকে। এই স্থানে রাতে প্রবেশের অনুমতি দেয় না ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।জানা যায় যে এক তান্ত্রিক এই কেল্লার রাজকন্যাকে বিবাহ করতে চাওয়ার কারনে তাকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।এরপর ওই তান্ত্রিকের অভিশাপের কারনেই এই কেল্লা আজও অভিশপ্ত হয়ে রয়েছে গেছে।এখানে রাতে কেউ প্রবেশ করলে আর খুঁজে পাওয়া যায় না  তাকে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *