নিউজ ডেস্কঃ সিরিয়া একটি আরবিক দেশ। দেশটি এশিয়ার পশ্চিমে অবস্থিত। সিরিয়ার সরকারি নাম সিরীয় আরব প্রজাতন্ত্র। সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে লেবানন, পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর, উত্তরে তুরস্ক, পূর্বে ইরাক, দক্ষিণে জর্ডান এবং দক্ষিণ পশ্চিমে ইসরায়েল। এর রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী হলো দামেস্ক।
সিরিয়া দেশের সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য হল-
- সিরিয়া এক সময় পুরো আরবের সবথেকে ধনী দেশ ছিল। কিন্তু দেশটির মধ্যে হতে থাকা অশান্তি ও গৃহ যুদ্ধের ফলে ধীরে ধীরে এটি একটি গরিব দেশে পরিণত হচ্ছে।
- সিরিয়া একটি ইসলাম প্রধান দেশ মূলত ইসলামিক সাংস্কৃতি এর জন্য এখানে বহু পর্যটক ঘুরতে আসছেন কিন্তু বর্তমানে চলতে থাকা সিরিয়ার নানা যুদ্ধ ফলে এখানে 75% পর্যটক দের ঘুরতে আসা কমে গেছে।
- সিরিয়ার বেশিরভাগ মানুষ মুসলিম হলেও এখানে অল্প সংখ্যক খ্রিস্টান ধর্মালম্বী বসবাস করে। বলা হয় যে যিশুখ্রিস্টের জীবনের সিরিয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ।
- এই দেশের মুসলমানদের দুটি সম্প্রদায় রয়েছে শিয়া ও সুন্নি। এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া অশান্তি লেগে থাকে। যার জন্য সিরিয়া দেশ টি বিপদজনক দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়।
- আরবের অন্য সকল দেশ গুলির মত সিরিয়ায় ও তেলের খনি রয়েছে। এই তেলের খনির জন্য সিরিয়া এক ধনী দেশ রূপে পরিণত করতে পারত কিন্তু এখানকার চলতে থাকা রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্য দেশটি ধীরে ধীরে বরবাদ হয়ে যাচ্ছে।
- ইসরাইলের বেশিরভাগ মানুষ সুন্নি মুসলমান এবং এখানকার সরকার একজন শিয়া মুসলমান। তাই দেশের জনগণ চায় তো তাদের নেতা একজন সুন্নি মুসলমান হবেন। তারা সব সময় সরকারের বিরোধিতা করত। যার জন্য এখানকার সরকার 1963-2011 পর্যন্ত ইমারজেন্সি আইন দ্বারা দেশ চালনা করেন।
- সিরিয়ায় 2011 সালে একটি সিভিল ওয়ার হয়েছিল যার ফলে দেশটির কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এবং কিছুদিন পর সিরিয়ায় 3 সংগঠনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। একদিকে রয়েছে আজাদ যাকে রাশিয়া ও ইরান সমর্থন করে, দ্বিতীয় সুন্নি সংগঠন যাকে আমেরিকা ও সৌদি আরব সমর্থন করে আর তৃতীয় হচ্ছে আইএসআই এই সংগঠনটি সুন্নি সংগঠন ও আজাদ এর সম্পূর্ণ বিরোধী।
- এছাড়াও এখানকার কিছু সম্প্রদায় রয়েছে যারা নিজেদের আলাদা দেশ গঠনের জন্য লড়াই করছে। এক অদ্ভুত বিষয় হলো এই সংগঠনের মধ্যে বেশির ভাগ মহিলা সৈনিক রয়েছে।
- সিরিয়া দেশের চলতে থাকার যুদ্ধ একটি অন্তররাষ্ট্রীয় সমস্যা তৈরি করেছে এই যুদ্ধে কমপক্ষে 34 টি দেশ পরোক্ষভাবে এই যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি দুনিয়ার দ্বিতীয় সবথেকে বড় যুদ্ধ যেখানে কমপক্ষে লাখ মানুষ মারা গেছে। এবং কয়েক লাখ মানুষ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে।