নিউজ ডেস্কঃ কার্ল মার্কস। প্রচুর মানুষের মনে গেঁথে রয়েছেন, তাঁর একাধিক কাজ এবং লেখার জন্য। বিশেষকরে সমাজ এবং পুঁজিবাদ সম্পর্কে। তিনি যে বিখ্যাত ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিলেন, সেগুলো কতটা সঠিক প্রমাণিত হয়েছে?
তিনি এবং ফ্রিডরিক এঙ্গেলস মিলে যে কমিউনিস্ট ইশতেহার লিখেছিলেন।
সমাজ এবং পুঁজিবাদ সম্পর্কে নিজের বিখ্যাত তত্ত্বের জন্য মার্ক্সের খ্যাতি দুনিয়া জোড়া।
কিন্তু তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীগুলো কি সব সঠিক প্রমাণিত হয়েছে?
১. ‘কাল্পনিক চাহিদা’ তত্ত্ব
মার্ক্স বলেছিলেন পুঁজিবাদ এমন সব জিনিস তৈরি করবে, যা মানুষের দরকার নেই, কিন্তু তারপরেও সে বস্তুর চাহিদা তৈরি হবে। একেই তিনি ‘কাল্পনিক চাহিদা’ বলে নাম দিয়েছিলেন।
স্মার্টফোনের কথাই ধরা যাক । যে স্মার্টফোনটি আপনার হাতে আছে, তার তুলনায় বাজারে আসা নতুনটির তফাৎ খুব সামান্যই। তারপরও ফোন কোম্পানিগুলো বিরামহীন নতুন মডেল উদ্ভাবন করে বাজারে ছাড়ছে।
২. ‘উত্থান এবং পতন’ তত্ত্ব
পুঁজিবাদের প্রকৃতিই হচ্ছে এটি ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি’ আর ‘মন্দা’র মধ্যে ঘুরপাক খায়। সেই অর্থে ২০০৮ সালে বিশ্ব জুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী মতই হয়েছে।
৩. ‘একাধিপত্য’
সাধারণ অর্থে পুঁজিবাদের বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করার কথা। যেমন পাড়ার মাংস ও মাছ বিক্রেতার মত ছোট ব্যবসা পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে।
মনে করে দেখুন তো, বড় সুপার মার্কেট চেইন রেখে কে কবে পাড়ার ছোট দোকানটিতে ঢুকেছে?
৪. ‘মধ্যবিত্তের সংকোচন’
কার্ল মার্ক্স বলেছেন, পুঁজিবাদের ধরণ অনুযায়ী মুনাফার জন্য বড় ব্যবসায়ীরা কর্মীদের বেতন ও সুবিধাদি কমিয়ে দেয়।
এতে মধ্যবিত্ত ক্রমে গরীব হতে থাকে। এর ফলে একটি বড় অংকের নগদ
অর্থ অল্প কিছু মানুষের হাতে জমতে থাকে।
৫. বিপ্লব?
কার্ল মার্ক্সের সবচেয়ে বড় তত্ত্ব ছিল পুঁজিবাদ নিজেই নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে।
কিভাবে?
তিনি বলছেন, যখন সবাই বুঝতে পারবে যে এই পদ্ধতিতে গলদ আছে, তখন তারা নিজেরাই বিদ্রোহ করে বিপ্লব ঘটাবে। কিন্তু সেটি এখনো বাস্তবে ঘটেনি।