মহাভারতের দুই পরাক্রমি যোদ্ধা ছিলেন অর্জুন এবং কর্ণ।যাদের বীরত্ব কথা ইতিহাসে উল্লেখ্যিত আছে।কিন্তু আপনারা কি জানেন যে এই দুই যোদ্ধা কে ছিলেন? রামায়নের সুগ্রীব ও বালীর কথা আমরা সবাই জানি যারা ছিলেন কিষিন্ধ্যার দুই বানররাজ। সুগ্রীব যিনি ছিলেন সূর্যদেবের পুত্র এবং মহাশক্তিধর বালি ছিলেন দেবরাজ ইন্দ্রের পুত্র। সুগ্রীব এবং বালী দুইজন ভাই ছিলেন।
বালী ঋক্ষরজার মৃত্যুর পর কিষিন্ধ্যার রাজা হন এবং তিনি খুব শক্তিধর ছিলেন।আর এই শক্তিধরকে তার ভাই সুগ্রীব বধ করতে একটি ছল রচনা করেছিল।যার ফলে বালী মৃত্যু ঘটেছিল।কিন্তু সুগ্রীবে এই ছল করার জন্যেই অভিশাপগ্রস্ত হয়েছিল ।যার ফলে রামায়ণ যুগ শেষ হওয়ার পর ও মহাভারত যুগ শুরুর আগে সুগ্রীব দম্ভোদভব নামের একটি রাক্ষস হয়ে জন্ম নিয়েছিল। এবং এই দম্ভোদভব সূর্যের পরম ভক্ত ছিলেন ।এই দম্ভোদভব সূর্যের তপস্যা করে ১০০ টি কবজ লাভ করেছিলেন।যার ফলে ওই ১০০ টি কজব ধ্বংস না করে তাকে বধ করা যাবে না।
ওই কবজ গুলি কে একবার ১ টির বেশি ধ্বংস করা যাবে না এবং ওই ধ্বংস করার জন্যে এক হাজার বছর ধরে পূজার্চনা করেছে এমন একটি ব্যাক্তি করতে পারবে।এছাড়াও একটি কবজ ধ্বংস করার পর ওই ব্যাক্তির তার মৃত্যু ঘটবে।এই কারনের জন্যে দম্ভোদভব ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন।একদিন দম্ভোদভবের সাথে নর এবং নারায়ণের দেখা হয়।তারপর দম্ভোদভবকে বধ করার জন্যে তার সাথে যুদ্ধ করে।একজন যখন দম্ভোদভবের সাথে যুদ্ধ করে তখন আরেকজন পূজার্চনা করেন এভাবে ১০০০ বছর ধরে যুদ্ধ করে দম্ভোদভবের একটি কবজ ধ্বংস করে।যার ফলে নর ও নারায়নের মধ্যে যে যুদ্ধ করে তার মৃত্যু ঘটে। এবং আরেকজন তার পূজার্চনা দিয়ে অন্যজনকে বাচিয়ে তোলে।এভাবেই একে একে করে দম্ভোদভবে ৯৯৯ টি কবজ ধ্বংস করে ফেলে নর ও নারায়ন।যখন দম্ভোদভবের ১ টি কজব বেঁচে গিয়েছিলেন তখন তিনি ভয় পেয়ে পালিয়ে যান এবং সূর্যের কাছে গিয়ে আত্ম গোপন করে।তখন সূর্য তার পরম ভক্তের কথা রাখতে গিয়ে দম্ভোদভবকে কুন্তির গর্ভে পাঠায়।এবং কর্ণ রূপে জন্ম গ্রহন করে দম্ভোদভব। আর তেমনি নর কুন্তির গর্ভে অর্জুন রূপে জন্মগ্রহন করে।
নর হলেন অর্জুন এবং নারায়ন হলেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। আর এইভাবে তাদের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়।তাই মহাভারতের অর্জুন এবং কর্ণ রামায়নের সময় বানররাজ বালী এবং সুগ্রীব রূপে জন্ম গ্রহন করেছিল এবং রামায়নের শেষে ও মহাভারতের শুরুর আগে নর নারায়ন এবং দম্ভোদভব রূপে জন্ম গ্রহন করেছিলেন।