নিউজ ডেস্কঃ কাশ্মীর নাম টার সাথে মোটামুটি আমরা সবাই পরিচিত। কাশ্মীর কে ভারতের সুইজারল্যান্ড ও বলা হয়ে থাকে। আবার কাশ্মীর ভূস্বর্গ নামেও ভীষণ পরিচিত আমাদের সবার কাছে। তবে এই কথা যে একেবারেই সত্যি তা শুধুমাত্র যারা কাশ্মীর ভ্রমণে গেছে তারাই জানে আর বাকি রা অনুমান করে থাকে মাত্র। কাশ্মীর সব দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি জায়গা। অপরিসীম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই অঞ্চল।
তবে কাশ্মীর ভ্রমণের অনেক অসুবিধা ও ভোগ করতে হয় অনেক পর্যটক কে। প্রতি বছর বহু পর্যটক কাশ্মীর ভ্রমণে উদ্যোগ ই হলেও শেষ পর্যন্ত আর তাদের যাওয়া হয়ে ওঠে না। কাশ্মীরে কারফিউ চলাকালীন যদি কোনো পর্যটক ভ্রমন করতে বেরোতে চান তার সঙ্গীদের সাথে তাহলে তা একেবারেই সম্ভব হয় না যদি তাকে একান্তই বেরোতে হয় তাহলে সেটা কেবলমাত্র একাই সম্ভব। এর ফলে বহু ধরণের সমস্যার সম্মুখে পড়তে হয় পর্যটকদের।
জম্মু এবং কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর পর্যটনের একটি মূল কেন্দ্র বলা যেতে পারে। কাশ্মীরের বিখ্যাত এবং প্রসিদ্ধ ডাল লেকে র শিকারা ভ্রমণ এক অপূর্ব সৌন্দর্যের সাক্ষী হয়ে থাকে বারবার।এই শিকারা ভ্রমণ পর্যটক দের একটি মূল আকর্ষণের জায়গা।এই শিকারা যে শুধুমাত্রই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তা নয় বরং বহু কাশ্মীরি র জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।এই শিকারার উপর বহু দোকানি নানান রঙের ফুল,ফল এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করে থাকে।এই অসাধারণ সৌন্দর্যে ভরা ডাল লেকের জন্যই কাশ্মীর কে প্রাচ্যের ভেনিস ও বলা হয়ে থাকে।
বর্তমানে কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার ফলে পর্যটকদের আনাগোনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।