নিউজ ডেস্কঃ শ্রী বিষ্ণু যিনি হলেন এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের পালন কর্তা।সেই ভগবান বিষ্ণু অভিশাপ পেয়েছিলেন।কিন্তু কেন এবং কেউ বা এই অভিশাপ দিয়েছিলেন? এটায় তো ভাবছেন তাই না।এই অভিশাপটি দিয়েছিলেন নারদ।কিন্তু কেন এবং তার পরিনাম কি হয়েছিলে সেটা জেনে নিন।
রামায়ণ অনুসারে রামনবমীর দিনে জন্মগ্রহণ করেন শ্রীরামকৃষ্ণ। রামকে এই পৃথিবীতে সব থেকে শ্রেষ্ঠ পুরুষ বলে মনে করা হয়।তবে আপনারা কি জানেন যে আসলে নারোদের অভিশাপে জন্ম হয়েছিল রামের।
ঋষি বাল্মিকী রচিত মহাকাব্য অনুযায়ী অযোধ্যার রাজা দশরথের তিন রানীর কৌশল্যা, কইকই এবং সুমিত্রা। কিন্তু তাদের কারোরই সন্তান ছিল না।উত্তরাধিকার পাওয়ার আশায় ঋষি শৃঙ্গ মনির পৌরহিত্যে এক বিশাল যজ্ঞ শুরু করেন দশরথ।যজ্ঞের শেষে অগ্নিদেব আগুন থেকে বেরিয়ে আসেন এবং তিনি আশীর্বাদ হিসেবে একবাটি পায়েস উপহার দেন।তিন রাণী এই পায়েস ভাগ করে খেলে তাদের গর্ভে পুত্র সন্তান জন্মাবে বলে বরদান করেন তিনি। এদিকে সেইসময় ভয়ঙ্কর জুলুম নির্যাতন শুরু করেছেন লঙ্কার রাজা রাবণ ব্রহ্মার আরাধনা করে তিনি এমন এক বর চেয়ে নিয়েছিলেন যাতে কোন দেবতা, যক্ষ এবং রাক্ষস তাকে হত্যা করতে পারবে না। কোন মানুষের পক্ষে তার মত মহাপুরুষকে হত্যা করা সম্ভব নয় বুঝে নিজেকে অপরাজেয় ভেবে অত্যাচারের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেন রাবণ।রাবণ হত্যায় ভগবান বিষ্ণুর দ্বারস্থ হন দেবতারা নারায়ন যাতে দশরথের ঔরসে তার তিন রানীর কোন একজনের গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন তার জন্য তাকে অনুরোধ জানান দেবতারা।মানুষের অবতারে বিষ্ণুর জন্ম নিলে তবেই রাবণকে পরাভূত করা সম্ভব।এরপরই কৌশল্যার গর্ভে জন্ম নেন শ্রীরাম।অন্যদিকে সেই সময় একদিন নারায়ণের ওপর অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন দেবর্ষি নারদ। একদিন এক সুন্দরী রাজকন্যার প্রেমে পড়েন নারদ সেই রাজকন্যা তখন স্বয়ংবর এর আয়োজন চলছিল নারদ সুদর্শন না হওয়ায় বিষ্ণুর কাছে আবেদন জানান জাতে স্বয়ংবরের সময় বিষ্ণু নিজের রূপ নারদকে দান করেন। বিষ্ণুর আশীর্বাদ পেয়ে স্বয়ম্বর সভায় যান নারদ কিন্তু রাজকন্যা বরমাল্য হাতে তার সামনে এসে হেসে ওঠেন আসলে নারীদের মুখে জায়গায় একটা বানরের মুখ বসিয়ে দিয়েছিলেন নারায়ন।বিষ্ণুর এইরকম আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন নারোদ এবং তাকে অভিশাপ দেন যেভাবে নিজের প্রেমকে কাছে না পেয়ে তিনি ব্যতীত হয়েছেন সেই রকমই একদিন নিজের স্ত্রীকে হারিয়ে দুঃখে কাতর হতে হবে বিষ্ণুকে। রাম রুপে জন্মগ্রহণ করে সীতার সঙ্গে চিরবিচ্ছেদ বিরহ ভোগ করেছেন নারায়ন।