ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়ায় আশায় সকল মানুষ ঈশ্বরের দর্শন বিভিন্ন ধার্মিক জায়গায় যায়।বলা হয়ে থাকে যে ভগবানের কাছে তার সকল ভক্তরা সমান।কিন্তু তাও কিছু কিছু মন্দির আছে যেখানে পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ কিন্তু মহিলাদের প্রবেশিধিকার আছে।তবে কেন ভগবানের দর্শনে এইধরনের ভেদাভেদ নারী ও পুরুষদের মধ্যে।এবং কোন কোন মন্দিরে এই রকম নিয়ম আছে জেনে নিন।
চাক্কুলাত্থুকাভু মন্দির, কেরলঃ- এই মন্দিরে দেবী ভগবতীর পূজা করা হয়।এটি এমন একটি মন্দির যেখানে পুরুষের প্রবেশ নিষেধ। চাক্কুলাত্থুকাভু মন্দিরে প্রতিবছর একটি বিশেষ সময় এক বিশেষ নারী পূজার আয়োজন করা হয়। দেবী ভগবতীর মন্দিরে এই বিশেষ নারী পূজা ডিসেম্বর মাসের প্রথম শুক্রবার আয়োজিত হয়।আর এই পুণ্যদিনের স্থানীয় ভাষায় নাম “ধনু”।এই সময় উপবাসী ব্রতকারিণীদের পা ধুইয়ে দেন মন্দিরের ‘পুরুষ’ পুরোহিত।এই সময় পুরোহিত ছাড়া বাকি কোন পুরুষ প্রবেশ করতে পারেন না মন্দিরটিতে।
কন্যাকুমারী মন্দির, তামিলনাড়ু: এই মন্দিরটিতে দেবী ভগবতী কুমারী রূপে পুজিত হন এবং বলা হয় এখানে দেবী সাধিকা রূপে পূজিত হন।এই মন্দিরটি অবস্থিত ভারতের দক্ষিণ বিন্দুতে।এখানে কোনও পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তবে শুধুমাত্র ওখানকার সন্ন্যাসীরা যেতে পারেন তবে ফটক অবধি। গর্ভগৃহ অবধি তাঁদের যাওয়ারও অনুমতি নেই।
ভগবতী মাতা মন্দির, বিহারঃ-যেসব মন্দিরে পুরুষদের প্রবেশিধিকার নেই তাদের মধ্যে অন্যতম হল বিহারের মুজাফ্ফরপুরের দেবী ভগবতী মন্দির।এই মন্দিরটিতে প্রতিবছরের একটি বিশেষ সময়ে পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকে। শুধুমাত্র মহিলারাই সেই সময়ে ভগবতী মাতার এই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন ।
আট্টুকাল মন্দির, কেরলঃ- এই মন্দিরটি শবরিমালার রাজ্যেরই এমন একটি মন্দির যেখানে শুধুমাত্র মহিলারা প্রবেশ করতে পারেন কোনো পুরুষ প্রবেশ করতে পারবেন না। এখানে একটি বিখ্যাত উৎসব আয়োজিত হয় যার নাম “পোঙ্গল”।এমনকি এই উৎসব “গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড” এ স্থান পেয়েছে।এই উৎসবে প্রায় তিরিশ লক্ষ মহিলার স্বতস্ফূর্ত সমাগমে জমজমাট থাকে। কিন্তু শুধুমাত্র মহিলারাই অংশ নিতে পারেন কোন পুরুষরা অংশ নিতে পারেন না।