নিউজ ডেস্কঃ দ্রুপদ কন্যা দ্রৌপদী জন্ম হয়েছিল যজ্ঞের আগুন থেকে। এই দ্রৌপদীর পঞ্চপাণ্ডব অর্থাৎ যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল এবং সহদেবের সাথে বিবাহ হয়েছিল। কারন হিসাবে আমরা জানি যে মাতা কুন্তির জন্যে হয়েছিল। কিন্তু এটাই একমাত্র কারন নয় দ্রৌপদীর এই পাঁচটি স্বামী পাওয়া পিছনে রয়েছে অন্য একটি কারন। তবে সেটি কারন যার জন্য দ্রৌপদীকে পাঁচটি পুরুষের সাথে বিবাহ করতে হয়েছিল।
দ্রুপদ কন্যা দ্রৌপদী বিবাহের জন্যে স্বয়ংবরের আয়োজন করেছিলেন রাজা দ্রুপদ। দ্রুপদ ইচ্ছে ছিলেন যে তার কন্যার সাথে অর্জুনের বিবাহ হোক তাই তিনি এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন সেটিতে জেতা খুবই কঠিন ছিল।
স্বয়ংবরের উপস্থিত সব রাজারা ব্যর্থ হয়েছিলেন। এই প্রতিযোগিতায় কর্ণ জিতে পারতেন কিন্তু দ্রৌপদী তাকে সুতপুত্র বলে তাকে বিবাহ করতে অস্বীকার করেন। সেই স্বয়ংবরে ছদ্মবেশে অর্জুন উপস্থিত হয়েছিলেন এবং ওই প্রতিযোগিতায় জিতলেন অর্জুন। তারপর অর্জুন দ্রৌপদীকে নিয়ে তাই বাসস্থানে এলেন এবং তার মাকে বাইরে থেকে বলেন যে সে কি ভিক্ষা করে নিয়ে এসেছেন। তখন কুন্তি বলেন যে যা ভিক্ষা করে নিয়ে এসেছো তা পাঁচজনে ভাগ করে নাও।
কুন্তি এই কথার জন্যে দ্রৌপদীকে কুন্তি পাঁচপুত্রকে বিবাহ করতে হয়। তবে এই পাঁচজনকে বিবাহ করবেন শুনে দ্রপদ ক্রোধিত হয়ে যান। তখন ব্যাসদেব উপস্থিত হলেন। ব্যাসদেব দ্রুপদকে বলেন যে পুরাকালে একটি ঋষি একটি পরমা সুন্দরী নামের এক কন্যা ছিলেন পূর্বজন্মে তার কর্মদোষে পতিলাভ হয় নি। তাই সেই কন্যা কঠোর তপস্যা করতে লাগলেন আর তার তপস্যায় মহাদেব তুষ্ট হয়ে শিব তাকে বর দিতে চাইলেন তখন ওই কন্যা বর স্বরূপ সর্বগুণসম্পূর্ণ পতি যা পাঁচবার উচ্চরন করেছিলেন। সেই মতো শিব বরপ্রদান করলে।
যেহেতু একই কথা পাঁচবার উচ্চরন করেছিলেন তাই পরের জন্মে ওই কন্যা পাঁচটি স্বামী হবে। আর ওই কন্যাটি পরের জন্মে দ্রৌপদী হয়ে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাই দ্রৌপদীর পাঁচটি স্বামী।