আপেল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার

ওয়েব ডেস্কঃ একটি আপেল আপনাকে ডাক্তারের থেকে দূরে রাখে এমন একটি কথা আছে। আপেলের গুনের শেষ নেই। কিন্তু আপেলের বীজে এমন কিছু ক্ষতিকর দিক আছে যা আপনার হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।

পরিবেশ দূষণের কারনে অনেকের শরীরে অ্যালার্জি দেখা যায়। তারা সরাসরি আপেল খাবেন না। সেক্ষেত্রে সেদ্ধ বা রান্না করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকন ডাক্তাররা।

সারা পৃথিবী জুড়ে ২০,০০০ প্রকারের আপেল আছে, যার মধ্যে জার্মানিতেই চাষ হয় ১৫০০ প্রকারের আপেল। তবে ৫০ ধরনের আপেলই সহজলভ্য। কিন্তু জানেন কি আপেলের বীজ কতটা ক্ষতিকর?

আপেলের বীজে অ্যামিগাডোলিন যা পেটে গেলে হজমে সাহায্যকারী এনজাইমের সংস্পর্শে এসে সায়ানাইড উৎপন্ন করে। এরফলে আপনার মস্তিস্কের অক্সিজেন প্রবাহ রুখে দিতে পারে। এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে যে ৭০ কেজি ওজনের একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের জন্য ১-২ মিলিগ্রাম সায়ানাইড ও প্রাণঘাতী হতে পারে।

তবে এই পরিমাণ সায়ানাইড পেতে ২০ টি আপেলের কাণ্ড চিবিয়ে খেতে হতে পারে।

আবার অ্যামেরিকার এক গবেষক দলের মত অনুযায়ী এই ধরনের খুব কম পরিমাণ সায়ানাইড ও মারাত্মক হতে পারে, যা আমাদের হার্ট এবং মস্তিষ্ককে অচল করে দিতে সম্ভব।

এছাড়াও এই বীজ পেটে গেলে হার্ট অ্যাটাক, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।

অল্প পরিমাণ পেটে গেলে মাথা ধরা, বমি, পেট ব্যাথা শরীর দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।

শুধু আপেলই নয় এপ্রিকট, চেরি, প্লাম, পিচের মতো ফলের বীজেও সায়ানাইড থাকে যা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করাই ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *