রিয়া আচার্যঃ ভ্রমনে যাওয়া কে না পছন্দ করে? অনেকের কাছে ভ্রমন করাটা একটা নেশার মতো। ভ্রমন প্রিয় মানুষ যে জায়গায় ভ্রমন করতে যায় সেই জায়গাটা যদি আবার রহস্যময় হয় তাহলে তো আরও বেশি কৌতূহল জন্মায় মনে।ভ্রমনের নেশার সঙ্গে কৌতূহল সম্পৃক্ত হলে বিষয়টি আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠে।নিচে কয়েকটি কেল্লা নিয়ে আলোচনা করা হল যা সাথে অনেক রহস্য জড়িয়ে আছে।
প্রবলগড় দুর্গঃ ভারতের মহারাষ্ট্রে মাথেরান ও পানবেলের মধ্যে অবস্থিত এই দুর্গটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।এই কেল্লাটা ২৩০০ ফুট পাহারের মাথায় অবস্থিত এই কেল্লাটা বিপদজনক রাস্তার জন্য বিখ্যাত।এই কেল্লার একদম উপযুক্ত সময় হল অক্টোবর থেকে মে মাসের মধ্যে।তারপর বর্ষার আসলে এই কেল্লাই ওঠা খুবই বিপদজনক কারন ধরার জন্য নেই কোন দড়ি বা রেলিঙ্ক সামান্য ভুল একদম ১০০০ ফুট গভীর খাতে গিয়ে পড়তে হবে।বিদ্যুতেরও সরবরাহ নেই এই দুর্গে।তাই সন্ধ্যের আগেই নেমে আসতে হয় পর্যাটকদের।তাই এই দুর্গে ভ্রমন করা পুরোপুরি দুর্গম ও বিপদ সংকুল।
চিত্তরগড় কেল্লাঃ রাজস্থানে অবস্থিত চিত্তরগড় কেল্লা ভৌতিক কারনের জন্য বিখ্যাত।লোক মুখে প্রচালিত যে এই কেল্লাই দীপাবলির দিন মধ্যরাতে পেতআত্মার আনাগনা শুরু হয়।এই কেল্লার সৌন্দর্যের জন্য ভিড় লাগে পর্যাটকদের।কিন্তু এই কেল্লার মধ্যে থাকা জাউহার কুণ্ড নামের জায়গায় যাওয়া সাহস হয় না করোর।জউহার কুণ্ডকে ভৌতিক জায়গা বলে।কারন হিসাবে জানা যায় যে ওই কুণ্ডে পরাজিত রাজার স্ত্রীররা বা অন্য মহিলারা শত্রুদের হাত থেকে নিজেদের সন্মান বাচাতে ঝাপ দিতেন ওই কুণ্ডের আগুনে।এমনকি ওই কুণ্ডে রানি পদ্মাবতি আত্মত্যাগ করেছিলেন।তাই এই কুণ্ডের রাস্তা আজও ভয়ঙ্কর।তাই সন্ধ্যের মধ্যে এই কেল্লা জনশূন্য হয়ে যায়।
কুম্ভালগড় কেল্লাঃ রাজস্থানে অবস্থিত এই কেল্লার পাঁচিল পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম পাঁচিল।এবং এই কেল্লার মধ্যে ৩৬০ টিরও বেশি মন্দির রয়েছে।এর মধ্যে ৩০০টির মতো জৌনো মন্দির এবং বাকিগুলো হিন্দু মন্দির আছে।এবং এই দুটি বৈশিষ্ট্যের জন্য এই কেল্লাটি বিখ্যাত।এটি একটি অভেদ্য কেল্লা।এখানে কখনো শক্তির জোরে প্রবেশ করতে পারেনি।এই কেল্লার উঁচু স্থানে মহল অবস্থিত।
আমের কেল্লাঃ রাজস্থানের জয়পুরের কেল্লাগুলির মধ্যে আমের কেল্লা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। লাল বেলে পাথর ও মার্বেল দিয়ে তৈরি এই কেল্লা হিন্দু ও রাজপুতদের ভাস্কর্যের একটি অন্যতম নিদর্শন।সূর্য অস্থ গেলে কেল্লার সামনে ঝিলে পড়া ওই কেল্লা প্রতিছবি মানুষের মগ্ধ করা দৃশ্য।এই কেল্লা বাইরেটা সামান্য মনে হলেও ভিতরে কারুকার্য মানুষকে মুগ্ধ করে দেয়।
লাল কেল্লাঃ ভারতের সবথেকে আকর্ষণীয় ও বিখ্যাত কেল্লাগুলির তালিকায় লাল কেল্লা অন্যতম।এই কেল্লা দিল্লীতে অবস্থিত।শাহজাহানের তৈরি এই কেল্লা লাল বেলে পাথর দিয়ে বানানোর জন্য এই কেল্লার নাম লাল কেল্লা দেন।এই কেল্লার ভিতরে অনেক প্রাচিন সামগ্রিক আছে যা প্রাচিনকালের ব্যবহৃত জিনিস সম্পর্কে ধারনা পায়।প্রতি বছর এই কেল্লায় প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার দিন জাতির উদ্দ্যেশে ব্যক্তিতা পেশ করেন।