নিউজ ডেস্কঃ আপনারা কি গরম জলে স্নান করছেন? তাহলে আপনারা নিজেদের অজান্তের নিজেদের ক্ষতি ডেকে আনছেন।অনেকে মনে করে যে গরম জলে স্নান করা শরীরে পক্ষে উপকার তাদেরকে বলে রাখি যে এবার এই ধারনাটি বদলে ফেলুন। কারন গরম জলে স্নান করা শরীরে উপকার করার বদলে অপকার করে বেশি।তাই শীত হোক বা গ্রীষ্ম গরম জলে কখনই স্নান করা উচিত নয়। গরম জলে স্নান করলে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে?
ত্বকের আদ্রতা :- গরম জলে স্নান করা যেমন আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক ঠিক তেমনই আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক।কারন গরম জল ত্বকের ফলিকলগুলোকে নষ্ট করে দেয়।এছাড়াও গরম জল মাথায় দিলে তা চুলের ক্ষতি করার পাশাপাশি মস্তিস্কের ওপরেও চাপ সৃষ্টি করে।এইজন্য গরম জল মাথায় দেওয়া একদমই উচিত নয়।তাই মাথায় সবসময় ঠান্ডা জল ব্যবহার করবেন।
চুল ঝড়া ও খুশকি :- গরম জলে স্নান করলে খুশকি সমস্যা দেখা দেয়। কারন গরম জল ত্বক এর স্বাভাবিক আদ্রতা কমিয়ে দেয় যার ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়।এইজন্য খুশকির সমস্যা বৃদ্ধি পায়।এছাড়াও চুল পরে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয় গরম জলে স্নান করার ফলে।এইজন্য ঠান্ডা জলে স্নান করুন তা না করতে পারলে উষ্ণ গরম জল দিয়ে স্নান করুন।
ফার্টিলিটি ক্ষমতা :- পুরুষদের পক্ষে গরম জলে স্নান করার খুবই ক্ষতিকারক।কারন দীর্ঘদিন ধরে গরম জলে স্নান করলে ছেলেদের ফার্টিলিটি ক্ষমতা হ্রাস পায়।যার ফলে পুরুষদের সন্তান হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা যায়।এইজন্য পুরুষদের ঠান্ডা জলে স্নান করা উচিত। কারন ঠান্ডা জলে স্নান করলে শুক্রাণু উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
রক্তচাপ :- যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের পক্ষে গরম জলে স্নান করা উচিত নয়।কারন শীতকালে গরম জলে স্নান করার ফলে শরীরে মধ্যে রক্তচাপে পরিবর্তন হওয়া শুরু হয়। এর ফলে শরীরে রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে হৃদপিণ্ডের কর্মক্ষমতাকে বাড়াতে হয়।যার ফলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এমনকী হার্ট অ্যাটাকেরও সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
ব্রণ ও অ্যাসিডিটি :- যাদের অ্যাসিডিটি সমস্যা আছে তাদের গরম জলে স্নান করা উচিত নয়।এছাড়াও অতিরিক্ত গরম জল স্নান করলে মুখে ব্রণের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।গরম জলে স্নান করার ফলে মানসিক বিষণ্ণতার মতো সমস্যার উপরেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।