মানবদেহকে বিরাট ভাবে ক্ষতি করছে প্লাস্টিক

গ্রীনহাউসে প্লাস্টিকের প্রভাব   

প্লাস্টিক  গ্রীনহাউসের উপর ক্ষরিকারক প্রভাব ফেলে ।কারন  আমরা যে সমস্ত প্লাস্টিক বোতল  ব্যবহার করি  তার মূল উপাদানই হলো পলিইথিলিন।আর এই এক আউন্স পলিইথিলিন তৈরি করতে গেলে পাঁচ আউন্স কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়। অর্থাৎ আমরা যে পরিমাণ প্লাস্টিকদ্রব্য প্রস্তুত করছি তার চেয়ে বেশি পরিমাণ দূষিত পদার্থ বায়ুতে নির্গমন করছি।যার ফলে বায়ুদূষণ হচ্ছে। তাই প্লাস্টিক আমাদের পরিবেশের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।

সামুদ্রিক পরিবেশ দূষণে প্লাস্টিকের প্রভাব

প্লাস্টিক সামুদ্রিক জীববৈচিত্রের ওপর এর প্রভাব ফেলছে।যা দিন দিন ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে।কারন দেখা গেছে যে  পৃথিবীতে উৎপাদিত মোট প্লাস্টিকের শতকরা ২ ভাগ গিয়ে জমা হচ্ছে মহাসাগরে।যার ফলে সমুদ্র দূষিত হচ্ছে।আর এই দূষণের শিকার হচ্ছে সামুদ্রিক জীব।কারন বহু সামুদ্রিক জীব এই প্লাস্টিকগুলোকে ভক্ষন করে ফেলার ফলে তাদের মৃত্যু হয় বা সমুদ্রের জল দূষিত হওয়ার ফলে মৃত্যু হয়।   

পরিবেশ বিপর্যয়ে প্লাস্টিকের প্রভাব

 প্লাস্টিক এমন একটি পদার্থ যা  বিয়োজিত হতে প্রায় হাজার বছর লেগে যায়। আর আমরা জানি  যে জিনিস পরিবেশে বিয়োজিত হতে বেশি সময় নেয় তা পরিবেশের জন্য একটি বড়ো সমস্যার  কারণ হয়ে দাঁড়ায়।তাই প্লাস্টিক আমাদের পরিবেশের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক পদার্থ।যার ফলে পরিবেশে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। 

মানবদেহে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব 

প্লাস্টিকের প্রভাব শুধুমাত্র  পরিবেশেই নয় আমাদের  মানবস্বাস্থ্যের ওপরও বিস্তার করে। প্লাস্টিক উৎপাদনে ব্যবহৃত উপাদান মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। উদাহরন হিসাবে এই পলি ভিনাইল ক্লোরাইড বা পিভিসি প্লাস্টিক পদার্থগুলো হলো- প্রসাদনসামগ্রী রাখার পাত্র, খেলনা, জলের পাইপ, টাইলস, গৃহসজ্জার সামগ্রী, শিশুদের সুইমিং পুল ইত্যাদি। এবং  এগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণে ক্যান্সার, জন্মগত ত্রুটি, জেনেটিক পরিবর্তন, দীর্ঘস্থায়ী ব্রংকাইটিস, আলসার, বধিরতা, চর্মরোগ, লিভার সমস্যা হতে পারে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *