কেন শ্রীকৃষ্ণর হাতেই একলব্যের বীরগতি হয়েছিল?

কেন শ্রীকৃষ্ণর হাতেই একলব্যের বীরগতি হয়েছিল?

নিউজ ডেস্ক – মহাভারতে এমন বহু চরিত্রের দর্শন পাওয়া যায় যাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ধৃতরাষ্ট্র ও পাণ্ডব বংশ ছাড়াও মহাভারতে এমন অনেকেই ছিলেন যাদের ছাড়া মহাভারত তৈরি হওয়া সম্ভব ছিল না। এই সকল অনস্বীকার্য চরিত্রের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন একলব্য। সাধারণত ধৃতরাষ্ট্র ও পাণ্ডব পুত্রদের সঙ্গে শিক্ষালয় বিদ্যা শিখতে দ্রোণাচার্যের কাছে গিয়েছিলেন একলব্য। সেখান থেকেই মহাভারতে একলব্যের ভূমিকা শুরু হয়েছিল। কিন্তু আসলে একলব্যের জন্মভূমি কোথায় !কার পুত্র একলব্য ! সে সম্পর্কে অনেকের কাছেই সঠিক ধারণা নেই। কিন্তু একটু ইতিহাসের পাতা উল্টালে, পেছনের দিকে তাকালেই জানা যাবে যে হরিবংশ পুরাণ মতে যাদব শ্রেষ্ঠ বসুদেবের ‘দেবশ্রবা’ নামে এক ভাই ছিলো। এই দেবশ্রবার যখন পুত্র হয় তখন আকাশবাণী হয় “যদু বংশির হাতেই এর মৃত্যু হবে।” এই আকাশবাণীতে ভয় পেয়ে পুত্রের রক্ষা করার জন্য দেবশ্রবা তার পুত্রকে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। ভাসতে ভাসতে সেই শিশু মগধ রাজ্যের বনে পৌছায়। সেই বনের নিষাদ রাজ ‘হিরন্যধনু’ তাকে নিজের পুত্র রূপে পালন করেন এবং তার নাম রাখেন ‘একলব্য।’ একলব্য যদু বংশের মতো মহান বংশের বংশোদ্ভূত হওয়ার কারনে সে এত প্রতিভাবান এবং দুর্ধর্ষ ধনুর্ধর ছিলো। তবে সঠিকভাবে সে যদুবংশের বড় না হওয়ায় তাকে অস্ত্রশিক্ষা দিতে অস্বীকার করেছিলেন দ্রোণাচার্য, কিন্তু তবুও হার মানেননি একলব্য। দ্রোণকে নিজের গুরু মনে করে ধনুর বিদ্যা শিখে গিয়েছিলেন এবং একজন শ্রেষ্ঠ ধনুর ধান হয়ে উঠেছিলেন তিনি। 

বহুকাল পরে যখন “ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কংস বধ করেন তারপর কংস বধের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য কংসের শ্বশুর মগধ সম্রাট জরাসন্ধ ১৭ বার মথুরা আক্রমণ করেছিল এবং প্রত্যেক বারই গুরুতর ভাবে পরাজিত হয়েছিল।জরাসন্ধ যখন জানতে পারে যে তার রাজ্যে এরকম একজন মহান ধনুর্ধর আছে তখন সে একলব্যকে তার সেনাপতি হিসাবে নিযুক্ত করে। সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় পর যুদ্ধে একলব্য যাদব সেনাবাহিনীর একটি বড়ো অংশ ধ্বংস করে দেয়। “তার এই ভীষণ পরাক্রম দেখে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে তাকে বীরগতি প্রদান করেন। এই ভাবেই আকাশবাণী সত্যি হয়েছিল এবং সমাপ্ত হয়েছিল এক লোকের জীবন কাহিনী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *