নিউজ ডেস্কঃ চোদ্দ বছরের বনবাসে ঘুমায় নি লক্ষন। লক্ষন রাম এবং সীতাকে রক্ষা করার জন্য চোদ্দ বছর ঘুমায় না। বনবাসের প্রথম দিন লক্ষনের সামনে ঘুমের দেবীর আবির্ভাব ঘটলে তাকে অনুরোধ করে যে তার যেন চোদ্দ বছর ঘুম না আসে এবং তার এই চাওয়াতে তুষ্ট হয়। তবে এই ঘুমের ভার কাউকে নিতে হবে বলে জানান দেবী। তখন লক্ষনের স্ত্রী এই ভার নিতে রাজি হন।
কুম্ভকর্ণের কথা তো আমরা সবাই জানি যে কুম্ভকর্ণ ছয় মাস ঘুমাত এবং একবার জাগত খাবার খাওয়ার কারনে। তবে কুম্ভকর্ণ কিন্তু প্রথম থেকেই এভাবে ঘুমাতেন না। কুম্ভকর্ণ বহু তপস্যা পর ব্রহ্মা তাকে একটি বর দিতে এসেছিলেন। বর স্বরূপ ইন্দ্রের আসন চাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।দেবরাজ ইন্দ্র এটি জানতে পেরে তিনি দেবী সরস্বতীকে কুম্ভকর্ণে এই বর চাওয়া থেকে আটকাতে বলে।তাই দেবী সরস্বতী কুম্ভকর্ণের বর চাওয়ার সময় তার জিভ আটকে ধরে।আর তাই কুম্ভকর্ণ ইন্দ্রাসন চাওয়ার বদলে নিদ্রাসান উচ্চারন করেন।তারপর থেকে কুম্ভকর্ণ ছয়মাস ঘুমিয়ে কাটাত।
বিভীষণ হল রামায়নে একটি অন্যতম চরিত্র।যিনি না থাকলে রাম রাবণকে বধ করতে পারতেন না।রাবন সীতাকে অপহরণ করার জন্য বিভীষণ তাকে রামের কাছে ক্ষমা চাইতে বলে।আর তাই রাবন রেগে যায় এবং বিভীষণকে বহিষ্কার করে।আর তখন বিভীষণ রামে পক্ষে থাকে এবং জানান যে কিভাবে রাবণকে বধ করা যাবে।
লঙ্কা থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে বানর সেনারা পাথর দিয়ে একটি সেতু তৈরি করতে ছিলেন।রামায়নের এই ঘটনাটা বহুবছর আগের।কিন্তু বর্তমানে ভারত এবং শ্রীলঙ্কার যোগাযোগ স্থাপনের জন্য একই রকমের একটি সেতুর খোঁজ পায় নাসা।গবেষকরা গবেষণা করে জানিয়েছেন যে প্রায় সেই রামায়নের সময়কালে তৈরি হয়েছিল সেই সেতুটি।এই সেতুটিকে আদম সেতুও বলা হয়।
সীতার স্বয়ম্বরে ধনুর ভঙ্গের কথা তো সবার জানা যেটি শুধুমাত্র রাম তুলে ভাঙতে পেরেছিলেন।তবে এই ধনুকটি কার ছিল সেটি অনেকেরই অজানা।ওই ধনুকটি ছিল মহাদেবের যার নাম ছিল পিনাকা।