পৃথিবীর যে দেশ গুলিতে বোরখা পরা নিষিদ্ধ

পৃথিবীর যে দেশ গুলিতে বোরখা পরা নিষিদ্ধ

বরাবরই সমাজে এমন কিছু জিনিস থাকে যেগুলো বিতর্ক সৃষ্টি।  ঠিক সেরকমই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিতর্কিত জিনিস হলো হিজাব বা বোরখা। সেই কারণেই বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে যেখানে হিজাব বিতর্কের পর বোরখা প্রচলন একপ্রকার বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও সে দেশ গুলিকে নিয়ে সমালোচনা করতে ছাড়েননি প্রতিবেশী দেশ।  

জানা গিয়েছে, বেশকিছু মুসলিম দেশ পুরো ইউরোপ জুড়ে ইসলামোফোবিয়ার জের ধরে কোথাও বোরকা আবার কোথাও নেকাব নিষিদ্ধ করেছে। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে ফ্রান্স প্রায় ২০১১ সালে নিকাব নিষিদ্ধ করে। এরপরই বেলজিয়াম, স্পেন, শাড, ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া সহ বেশ কয়েকটি দেশে নেকাব এবং বোরকাকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে। তবে এখানেই শেষ নয় আরও অনেক দেশে নিষিদ্ধ ঘোষনার প্রক্রিয়া চলছে।

অন্যদিকে ইউরোপ, ফ্রান্স বাদে  যে দেশগুলো ইতিমধ্যে  বোরকা নিষিদ্ধ করেছে সেগুলো হলো – •ফ্রান্সে ৫০ লাখ মুসলমানের বাস। ২০১১ সালের ১১ই এপ্রিল এই আইন কার্যকর হয়। বোরকা বা নেকাব পরলে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে আইনে।

  • ২০১৫ সালে আইন করে বোরকা নিষিদ্ধ করা হয় নেদারল্যান্ডসে। জনসমক্ষে, স্কুল, হাসপাতাল ইত্যাদির মতো জায়গায বোরকা ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
  • ২০১৯ সালের ১লা জুলাই থেকে সুইজারল্যান্ডের লুগানো, লোকারনো, মাগাদিনোসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বোরকা নিষিদ্ধ হয়েছে। কেউ জনসমক্ষে বোরকা পরলে ৯ হাজার ২০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করেছে সেই দেশের সরকার।
  • ইটালির বেশ কয়েকটি শহরে নেকাব নিষিদ্ধ। ৭০-এর দশকেই মুখ ঢেকে রাখা সব ধরনের ইসলামিক পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইটালি।
  • ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এশিয়ার মুসলিমপ্রধান দেশ তাজিকিস্তান বোরকা ও হিজাব নিষিদ্ধ করে। যদিও এই আইন অমান্য করলে কোনো সাজার ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
  • আফ্রিকার ৯৯ শতাংশ মুসলিম ধর্মাবলম্বীর দেশ মরক্কোতে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে বোরকার উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *