নিউজ ডেস্কঃ আট থেকে আশি আজকাল সকলকেই চুলের সমস্যায় পরতে হয়। বিশেষ করে মেয়েদের। তবে বেশিরভাগ সময় জীবনযাত্রার খারাপ মান থেকে শুরু করে খারাপ মানের জিনিস চুলে ব্যবহার করার কারনে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
যে ৭টি কারনে প্রধানত চুলের সমস্যা দেখা যায়
ঝলমলে সুন্দর চুল সকলেই চায়। উজ্জ্বল এবং সুস্থ চুল সকলেরই ভালো লাগে। সুন্দর চুল সবারই সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু সুন্দর চুল পাওয়া এতোটা সম্ভব নয়। চুলেরসৌন্দর্য বাড়াতে হলে প্রয়োজন বিশেষ যত্ন ও সতর্কতার। প্রতিদিন নিজেদের একাধিক অসতর্কতার কারণে নষ্ট হয় যায় আমাদের চুল। আজকাল খুব ঝরছে আপনার চুল, মাথায় চুল নেই বললেই চলে?
চুল ধোয়ার আগে সারাদিন ঘোরাঘুরির ফলে চুলে ধুলোবালি লেগে যায়। সেই সঙ্গে চুলে লেগে থাকে জট। আর সেই কারনে চুলে শ্যাম্পু করার আগে অবশ্যই চুল আঁচড়ে নেয়া উচিত। তাহলে চুলের জট ছেড়ে যায়। চুল শ্যাম্পু করার সময়ে চুল ভিজে নরম হয়ে যায়। আগেই জট ছাড়িয়ে নেওয়াই ভালো, চুল ধোয়ার সময় চুল ছিঁড়ে যেতে পারে এবং চুলের ক্ষতিও হতে পারে। শুধু চুলের গোঁড়া আঁচড়ানো উচিৎ। শুধু চুলের আগা আচড়ে নেন অনেকেই। চুলের গোড়া আচড়াতে অনেককেই দেখা যায়না। চুলের আগা তো বটেই চুলের গোড়া আচড়ানোও জরুরী। কারণ চুলের গোড়া আচড়ালে রক্তচলাচল বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি মাথার তালুর থেকে তেল পুরো চুলে ছড়িয়ে পড়ে।এর ফলে চুল উজ্জ্বল থাকে এবং এর বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে।
অতিরিক্ত শ্যাম্পু করার অভ্যাস আছে অনেকের। প্রতিদিন শ্যাম্পু করার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনি নিজেই ক্ষতি করছেন আপনার চুলের। প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করলে চুলের গোড়ার প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে গিয়ে চুলকে রুক্ষ করে ফেলে। সেই সঙ্গে শ্যাম্পুর অতিরিক্ত কেমিক্যাল চুলকে ভঙ্গুর করে।
হেয়ার স্ট্রেইটনার ও হেয়ারড্রায়ার ব্যবহার
চুলকে পরিপাটি রাখার জন্য অনেকেই হেয়ার ড্রায়ার, কার্লিং মেশিন ও স্ট্রেইটনার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এগুলোর অতিরিক্ত তাপমাত্রা খুব সহজেই চুলকে বিভিন্ন সমস্যায় ফেলে। এগুলোর নিয়মিত ব্যবহারে চুল ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং চুলের স্বাভাবিক রং পরিবর্তন হয়ে যায়। পাশাপাশি কমে যায় চুলের বৃদ্ধি। দীর্ঘক্ষন টাওয়েল পেচিয়ে রাখা অর্থাৎ অনেকেই স্নান করে দীর্ঘ সময়ে ধরে টাওয়েল পেচিয়ে রাখে চুলে। এর ফলে চুলের জল শুকিয়ে নেওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় টাওয়েল পেচিয়ে রাখলে চুলের ক্ষতি হয়। অনেকক্ষণ ভেজা টাওয়েল পেচিয়ে রাখার কারণে চুল দূর্বল হয়ে পরে। সেই সঙ্গে চুলের গোড়া বেশিক্ষন ভেজা থাকার কারণে চুল ঝরা বা পরা বিঋ পায়। ধূমপান করার ফলে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। যদি চুলের সমস্যায় ভোগেন তাহলে অবিলম্বে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া উচিৎ।
স্ট্রেস বা চাপ
অতিরিক্ত স্ট্রেস ও দুশ্চিন্তা অনেকে করেন, খুব চাপে এবং পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তাঁদের মাথার চুল পড়ে যায় সবার আগে।