নিউজ ডেস্কঃ হিন্দুশাস্ত্র মতে, যেকোনো পূজা সম্পূর্ণ করতে তুলসি পাতা লাগে। তাই পূজার ক্ষেত্রে তুলসি পাতার ব্যবহারে মাহাত্ম আমরা সবাই জানি।কিন্তু আপনারা একটা বিষয় জানলে অবাক হবেন যে যেই পাতা ছাড়া কোন দেব্দেবতাদের পূজা সম্পূর্ণ হয় না সেই পাতার ব্যবহার করা নিষেধ আছে দেবাদিদেব মহাদেবের পূজাতে।নিশ্চয় ভাবছেন যে কেন মহাদেবের পূজাতে তুলসি পাতা ব্যবহার করা নিষেধ? এই নিয়ে কি বলছে পুরান?
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, দেবী তুলসি ছিলেন শঙ্খচূড় নামক এক অসুরের স্ত্রী। শঙ্খচূড়ের বর ছিল যে “ তার স্ত্রীর সতীত্ব নষ্ট হলেই তার মৃত্যু হবে”। কিন্তু তুলসি দেবী ছিলেন এক সতী নারী।তাই শঙ্খচূড় এই বর লাভ করার পর হয়ে উঠে অত্যাচারী।শুরু হয় দেবদেবতাদের উপর তার অত্যাচার।এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সমস্ত দেবদেবতারা শরনাপর্ণ হন মহাদেবের কাছে।এরপর মহাদেব সকল দেবগনের সাথে বিষ্ণুদেবের কাছে গিয়ে সমস্ত বিষয় জানান।তখন বিষ্ণুদেব দেবতাদের শঙ্খচূড়ের হাত থেকে দেবতাদের রক্ষা করার জন্য শঙ্খচূড়ের রূপ ধারন করে।এরপর বিষ্ণুদেব শঙ্খচূড়ের রূপ ধারন করে তুলসি দেবীর কাছে যান তাঁর সতীত্ব নষ্ট করার জন্য।কারন তুলসি দেবীর সতীত্বের জন্য শঙ্খচূড়কে পরাজিত করতে পারছিলেন না। তুলসি দেবী ভগবান শঙ্খচূড়ের বেশে থাকা ভগবান বিষ্ণুকে তাঁর স্বামী হিসাবে মনে করে।যার ফলে তাঁর সতীত্ব নষ্ট হয়। আর তখনই শিব শঙ্খচূড়কে বধ করে।তুলসি দেবীর স্বামীকে বধ করার জন্য তুলসি দেবী মহাদেবের উপর ক্রোধিত হয়ে অভিশাপ দেন যে “তার পূজাতে কখনও তুলসি পাতা ব্যবহার করা হবে না”।