নিউজ ডেস্কঃ গণেশ হলেন দেবাদিদেব মহাদেব এবং দেবী পার্বতীর পুত্র।যিনি সব দেবতাদের আগে পূজা পান তাঁকে আমরা সিদ্ধিদাতা এবং গণপতি বলে থাকি।কিন্তু গণেশকে কেন গনপতি বলা হয় সেটা জানেন কি?
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, পার্বতী নিজের গাত্রমল থেকে একটি সুন্দর ও পূর্ণাঙ্গ পুতুল নির্মাণ করে এবং তাতে তিনি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর পার্বতী তাকে নিজের স্নানাগারের দ্বাররক্ষকের দায়িত্ব দেন। এরপর একদিন শিশুটিকে দ্বার রক্ষা করার দায়িত্ব দিয়ে মাতা পার্বতী স্নান চলে গিয়েছিলেন।এবং মাতা পার্বতী শিশুটিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তাঁর অনুমতি ব্যতীত কেউ যেন ভিতরে প্রবেশ না করে।ঠিক এমন সময় ভগবান শিব পার্বতীর সঙ্গে দেখা করতে এলে তখন শিশুটি শিবকে ভিতরে যেতে বাধা প্রদান করে। এতে ভগবান শিব ক্রুদ্ধ হয়ে যান এবং তিনি তখন ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁর ত্রিশূল দিয়ে ওই শিশুটির মাথা দেহ থেকে আলাদা করেন। মাতা পার্বতী বাইরে বেড়িয়ে সমস্ত কিছু দেখে খুবই ক্রুদ্ধ হয়ে যান।তখন মাতা পার্বতী মহাদেবকে বলেন যে তাঁর বাচ্চার প্রান ফিরিয়ে দিতে ।তখন ওই শিশুটির মানুষের বদলে হস্তির মাথা দান করে পুনরায় প্রান ফিরিয়ে দেওয়া হয়।এরপর দেবাদিদেব মহাদেবের আশির্বাদে তিনি প্রথম দেবতা রূপে স্বীকৃতি পান।এবংসমস্ত দেবতারা গণেশকে অনেক বর দিয়েছিলেন।সেই সমস্ত গণের অধিপতি হওয়ার কারণে গণেশকে গণপতি বলা হয়।