পৃথিবীর কোথায় গেলে দেখতে গাছেদের নৃত্য দেখতে পাবেন?

পৃথিবীর কোথায় গেলে দেখতে গাছেদের নৃত্য দেখতে পাবেন?

আমাদের প্রকৃতি অপার রহস্যে পরিপূর্ণ। আমাদের চারপাশে এরকম অনেক ঘটনা ঘটে যার ব্যাখ্যা বিজ্ঞান ও দিতে সক্ষম হয় না। আর সেই সমস্ত অজানাকে জানার কৌতুহল মানুষের মনে তৈরি হয় স্বাভাবিকভাবেই। পোল্যান্ডের ডান্সিং ফরেস্ট এরকমই একটি রহস্যময় জায়গা যা যুগ যুগ ধরে কৌতূহল বাড়িয়েছে মানুষের মনে।

পোল্যান্ডের সিজারানো গ্রামের পাশে অবস্থিত এই ডান্সিং ফরেস্টের গাছ গুলোকে দেখলে মনে হয় গাছগুলি যেন নৃত্য করছে।এই জঙ্গলের  কিছু গাছ নিচ থেকে সমকোণে অর্থাৎ 90° বেকে  থাকে আবার কিছু গাছ বেড়ে ওঠার সময় মাটির একদিকে ঝুকে আবার পরবর্তীকালে অন্য দিকে ঘুরে সোজা হয়ে বড় হতে থাকে।এর ফলে  গাছগুলোকে দেখলে মনে হয় এগুলো যেন নৃত্যের  কোন বিশেষ মুদ্রারত অবস্থায় রয়েছে।

অদ্ভুত আকারের গাছের জন্য ডান্সিং ফরেস্টের পরিচিতি পৃথিবীর সর্বত্র। গাছের এমন আকৃতি দেখে অবাক হন সকলেই কিন্তু অনেক গবেষণার পর ও এর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে, বিজ্ঞান কোন ব্যাখ্যা দিতে না পারলেও গাছের অদ্ভুত আকৃতির কারণ হিসাবে শোনা যায় না না গল্প কথা। প্রচলিত গল্প অনুযায়ী অনেকে মনে করেন যে এখানকার মাটিই গাছের এই বিশেষ গঠনের জন্য দায়ী। আবার অনেকের মতে এই অঞ্চলের বাতাসে পজিটিভ এনার্জি এবং নেগেটিভ এনার্জি দুই এর ই উপস্থিতি আছে। আর এই দুই এনার্জির মধ্যে সংঘাতের জন্য‌ই গাছের এই অদ্ভুত আকৃতি। তবে বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস যে সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে গাছ হওয়ার ফলে,সারাক্ষণ শক্তিশালী বাতাসের সাথে সংঘর্ষ হয় তাদের আর এই বাতাস থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্যই গাছগুলি নিজেদেরকে বাঁকিয়ে ফেলে।স্থানীয়  অনেকে অবশ্য মনে করেন বিরল প্রজাতির গাছপালা বিশিষ্ট এই বন এল গাছগুলি মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ফলে এরকম আকার ধারণ করেছেন।

তবে এতগুলো ব্যাখ্যার মধ্যে কোনটাই কিন্তু এই রহস্য ভেদ করতে পারেনি। কারণ, সেখানে পরবর্তী কালেও অনেক গাছ রোপণ করা হয়েছে যেগুলো একদম স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে উঠেছে অথচ যে সমস্ত গাছগুলি এরকম অদ্ভুত আকার ধারণ করেছে সেগুলি সমস্তই রোপণ করা হয়েছিল 1930 সালে। সেই সময় কি গাছগুলো কোন বিশেষ পদ্ধতিতে রোপণ করা হয়েছিল কিনা সেই নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এই নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা চললেও কোনো সঠিক উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে রহস্যময় এই বনটি কিন্তু অপরূপ সুন্দর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *