নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বকর্মা হলে হিন্দুদেবতাদের মধ্যে একজন। যিনি এই গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে সৃষ্টি করেছেন। তাই তাঁকে শিল্পী ও নির্মাতাদের দেবতা বলি। বিশ্বকর্মার যেমন এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছেন ঠিক তাঁর পাশাপাশি আরও অনেক অস্ত্র এবং স্থাপত্যের সৃষ্টি করেছিলেন।তাই আজকে জেনে নিন বিশ্বকর্মা বানানো কিছু স্থাপত্যের বিষয়ে।সত্যযুগে বিশ্বকর্মা তৈরি করেছিলেন স্বর্গলোক। এই প্রাসাদ থেকেই দেবরাজ ইন্দ্র মর্ত্যলোক শাসন করতেন। ত্রেতা যুগে বিশ্বকর্মা সৃষ্টি করেন সোনার লঙ্কা। দ্বাপর যুগে সৃষ্টি করেন দ্বারকা। এবং কলিযুগে বিশ্বকর্মার অমর সৃষ্টি হস্তিনাপুর ও ইন্দ্রপ্রস্থ।
সোনার লঙ্কা
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী তেতা যুগ অর্থাৎ রামায়নে রাবণ রাজার রাজধানী ছিল সোনার লঙ্কা। মহাদেব ও মাতা পার্বতীর বিয়ের পর তাদের প্রাসাদ নির্মাণের ভার দেওয়া হয়েছিল বিশ্বকর্মাকে।তারপর বিশ্বকর্মা মহাদেব ও মাতা পার্বতীর স্বর্ণপ্রাসাদ নির্মাণ করেন ।আর এই প্রাসাদের গৃহপ্রবেশের পুজোর জন্য রাবণ রাজাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন মহাদেব।এরপর রাবণ পুজোর দক্ষিণা স্বরূপ মহাদেবের কাছে স্বর্ণলঙ্কা চান। তখন মহাদেব রাবণের হাতে স্বর্ণলঙ্কা তুলে দেন।এবং সেখান থেকেই রাবণের রাজধানী হল স্বর্ণলঙ্কা।
দ্বারকা
দ্বাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণের রাজধানী ছিল দ্বারকা নগরী।আর এই নগরী সৃষ্টি করেছিলেন বিশ্বকর্মার।পৌরাণিক কাহিনী অর্থাৎ মহাভারতে দ্বারকাই কৃষ্ণের কর্মভূমি হিসেবে উল্লিখিত।
হস্তিনাপুর
বিশ্বকর্মা এক এক যুগে এক একটি অমর স্থাপত্যের সৃষ্টি করেছিলেন।তার মধ্যে অন্যতম হল কলিযুগের কৌরব ও পাণ্ডবদের রাজধানী হস্তিনাপুর ও ইন্দ্রপ্রস্থ যেটি নির্মাণ করেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা।
ইন্দ্রপ্রস্থ
বিশ্বকর্মা এক এক যুগে এক একটি অমর স্থাপত্যের সৃষ্টি করেছিলেন।তার মধ্যে অন্যতম হল পাণ্ডবদের শহর ইন্দ্রপ্রস্থ যেটির নির্মাণ করেছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা।মহাভারতের পাণ্ডবদের থাকার জন্য এক টুকরো জমি দিয়েছিলেন ধৃতরাষ্ট্র। সেই জায়গাটির নাম ছিল খাণ্ডবপ্রস্থ যেখানে যুধিষ্ঠির তার ভাইদের সঙ্গে থাকতেন ।পরে খাণ্ডবপ্রস্থে রাজধানী নির্মাণের জন্য বিশ্বকর্মাকে আমন্ত্রণ জানান কৃষ্ণ। তৈরি হয় ইন্দ্রপ্রস্থ। এই ইন্দ্রপ্রস্থ ছিল মায়ানগরী। প্রাসাদের মাটি দেখলে মনে হত যেন স্বচ্ছ্ব জল টলটল করছে। পুকুরের স্বচ্ছ্ব জলের মধ্যে দিয়ে আয়নার মতো চকচক করতো মাটি।