কিভাবে চাষ করবেন রুই, কাতলা এবং মৃগেল?

নিউজ ডেস্কঃ আগেকার সময়ে মাছ চাষের প্রতি মানুষের আগ্রহ কম ছিল যার কারনে সেই সময় মাছের  চাহিদার থেকে মাছের যোগান কম ছিল। কিন্তু বর্তমান দিনে মানুষের মধ্যে মাছ চাষের আগ্রহ বেড়েছে।এইজন্য নানা ধরনের গবেষণা ও পরীক্ষানিরীক্ষা করা হচ্ছে এই মৎস্যচাষের উপরে। এরফলে  মাছ চাষিরা মৎস্যচাষে সফলতা লাভ করছে।মাছ চাষ করার আগে কিছু পদ্ধতি মাছ চাষিদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন।যেমন-  রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছ চাষ করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আছে। 

পুকুরে পোনা মাছ রাখার আগে  পুকুর ভালোভাবে প্রস্তুত করে নেওয়া প্রয়োজন।সেই সাথে  মাছের শারীরিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ প্রাকৃতিক খাবার  যাতে পুকুরে তৈরি হয় তা সুনির্দিষ্ট করা।

এমন অনেক মাছ আছে যেগুলি কোনোভাবে  পুকুরে থাকলে মাছ চাষে ক্ষতি করে। কারন ওই সমস্ত মাছ হল রাক্ষুসে মাছ যেগুলি  চাষের মাছকে বিভিন্ন বয়সে খেয়ে ফেলে। এইজন্য এইসমস্ত মাছকে মেরে ফেলা দরকার।এছাড়াও পুকুরে আমাছা, ছোট বড় জলজ কীট থেকে মাছকে  রক্ষা করতে পুকুরে   খোল প্রয়োগ করা উচিত।এরফলে  ওই সমস্ত আমাছা, ছোট বড় জলজ কীট মরে যায়।  প্রতি বিঘা সাধারণত ২০০ – ২৫০ কেজি খোল প্রয়োগ করা যায়।

এছাড়াও আরেকটি বিকল্প  হল পুকুরের মধ্যে বিষটোপ দিয়ে ওই রাক্ষুসে মাছ ধরে পুকুর থেকে বের করে দেওয়া। এরপরের দিন পুকুরের গভীরতা এবং আয়তন অনুযায়ী শতাংশপ্রতি আধা কেজি থেকে এক কেজি চুন দিয়ে রেখে দেওয়ার  ছয়-সাতদিন পর সুমিথিয়ন শতাংশপ্রতি ০.৩  মিলি পিপিএম হারে প্রয়োগ করতে হবে পুকুরে।

এই কাজটি করার পরের দিন পুকুরে মধ্যে মাছের রেণু ছাড়তে হবে। চাষের পদ্ধতি অনুসারে  মাছের রেণু  ছড়াতে হবে প্রতি ৫০ শতাংশের পুকুরে ।

মৎস্যচাষের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল ঠিক সময় বুঝে মাছ ধরে বাজারে বিক্রয় করা।তবে বিক্রয়জাত মাছগুলি যেন  অপেক্ষাকৃত বড় আকারের হয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *