কর্ণ পূর্বজন্মে একটি রাক্ষস ছিলেন এবং তার কাছে ১০০টি কবজ ও কুণ্ডল ছিল? জানুন কর্ণ এবং কর্ণের ওই কবজ ও কুণ্ডল সম্পর্কে অজানা তথ্য

কর্ণ পূর্বজন্মে একটি রাক্ষস ছিলেন এবং তার কাছে ১০০টি কবজ ও কুণ্ডল ছিল? জানুন কর্ণ এবং কর্ণের ওই কবজ ও কুণ্ডল সম্পর্কে অজানা তথ্য

নিউজ ডেস্কঃ মহাভারতের কর্ণের বীরত্ব কথা আমরা সবাই জানি। আর এই বীরত্বের জন্যই কর্ণকে মহাভারতের একটি অন্যতম প্রধান চরিত্রে হিসাবে মানা হয়। আমরা সবাই জানি যে কর্ণ ছিলেন কুন্তি এবং সূর্যদেবের পুত্র। কুন্তির বিবাহ পূর্বে সূর্যদেবের কাছে বরস্বরূপ সন্তানপ্রাপ্তি হয়েছিল। যার জন্যই কর্ণকে কুন্তি ত্যাগ করেছিলেন। তাই সূর্যদেব তার পুত্র কর্ণকে অজেয় করার জন্যে তার জন্মে সময় কবজ ও কুণ্ডল দান করেছিলেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন যে কর্ণ পূর্বজন্মে একটি রাক্ষস ছিলেন এবং তার কাছে ১০০টি কবজ ও কুণ্ডল ছিল? জানুন কর্ণ এবং কর্ণের ওই কবজ ও কুণ্ডল সম্পর্কে অজানা তথ্য।

মাতা কুন্তির গর্ভে কর্ণরূপে জন্মগ্রহন করার আগে তিনি একটি রাক্ষস ছিলেন। যার নাম ছিল দম্ভোদভব। এই দম্ভোদভব সূর্যের তপস্যা করে ১০০ টি কবজ লাভ করেছিলেন। যার ফলে ওই ১০০ টি কজব ধ্বংস না করে তাকে বধ করা যাবে না। এবং ওই কবজ গুলি কে একবার ১ টির বেশি ধ্বংস করা যাবে না এবং ওই ধ্বংস করার জন্যে এক হাজার বছর ধরে পূজার্চনা করেছে এমন একটি ব্যাক্তি করতে পারবে। এছাড়াও একটি কবজ ধ্বংস করার পর ওই ব্যাক্তির তার মৃত্যু ঘটবে। এই কারনের জন্যে দম্ভোদভব ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন।

একদিন দম্ভোদভবের সাথে নর এবং নারায়ণের দেখা হয়। তারপর দম্ভোদভবকে বধ করার জন্যে তার সাথে যুদ্ধ করে। একজন যখন দম্ভোদভবের সাথে যুদ্ধ করে তখন আরেকজন পূজার্চনা করেন এভাবে ১০০০ বছর ধরে যুদ্ধ করে দম্ভোদভবের একটি কবজ ধ্বংস করে। যার ফলে নর ও নারায়নের মধ্যে যে যুদ্ধ করে তার মৃত্যু ঘটে। এবং আরেকজন তার পূজার্চনা দিয়ে অন্যজনকে বাচিয়ে তোলে। এভাবেই একে একে করে দম্ভোদভবে ৯৯৯ টি কবজ ধ্বংস করে ফেলে নর ও নারায়ন। যখন দম্ভোদভবের ১ টি কজব বেঁচে গিয়েছিলেন তখন তিনি ভয় পেয়ে পালিয়ে যান এবং সূর্যের কাছে গিয়ে আত্ম গোপন করে। তখন সূর্য তার পরম ভক্তের কথা রাখতে গিয়ে দম্ভোদভবকে কুন্তির গর্ভে পাঠায়।  কর্ণ রূপে জন্ম গ্রহন করে দম্ভোদভব। ঠিক তেমনি নর ও নারায়ন কুন্তির গর্ভে অর্জুন রূপে জন্মগ্রহন করে। এইভাবে তাদের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *