পায়ের তোড়া বা নুপুর মেয়ে একটি অন্যতম অলংকার।বর্তমান দিনে পায়ে নুপুর পড়া চলটা কমে গেছে কিন্তু আগেকার দিনে এই চলটা খুবই ছিল।বর্তমান দিন হোক বা আগেকার দিন আমরা সব সময় পায়ে রুপোর নুপুর পড়তে দেখি মেয়েদের।পায়ে রুপোর নুপুর পড়তে হয় সোনার নুপুর পড়া যায় না একটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কেন পায়ে সোনার নুপুর পড়তে নেই সেটা অনেকেই জানেন না বলেই চলে? তাহলে জেনে নিন কেন পায়ে সোনার নুপুর পড়তে নেই।
বৈজ্ঞানিক কারণ অনুযায়ী বলা হয় যে সোনা হল একটা গরম ধাতু। তাই সোনার গয়নাও একটু গরম হয়।যেহেতু সোনা একটি গরম ধাতু তাই এটি পায়ে তাপ উৎপন্ন করে। যার ফলে শরীর গরম হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর উপরে যদি মাথায় এবং পায়ে একসঙ্গে সোনার গয়না পড়লে তো একটি সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে কারন সোনা গয়নায় শরীর গরম হয়ে উঠে। আবার আয়ুর্বেদের মতে, সব সময় মাথা ঠাণ্ডা আর পা গরম রাখা উচিত।আর সোনার গয়না আমাদের শরীরে গরম প্রভাব ফেলে থাকে। তাই মাথায় সোনার গয়না পড়লে শরীরে তৈরি হওয়া উষ্ণতা পা পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় এবং পায়ে পড়লে এই উষ্ণতা আবার মাথায় চলে যাবে যা আমাদের শরীরে পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।তাই সোনার গয়না গায়ে পড়লে ক্ষতি না হলেও পায়ে পড়া কিন্তু ক্ষতি।
এই ধার্মিক কারণ অনুযায়ী, সোনাকে বলা হয় লক্ষ্মীর প্রতীক এবং তাই এটিকে লক্ষ্মী রুপে পূজা করা হয়। তাই একে পায়ে পড়া উচিত নয় বলে অনেকেই মনে করেন।এছাড়াও হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী সোনার গয়না প্রধানত দেব-দেবীরা পরেন। তাই সোনার গয়না পায়ে পরা ‘অশুভ’ অনেকেই মনে করেন।আর এটি পায়ে সোনার নুপুর পড়েন না।