নিউজ ডেস্কঃ রামায়নে রামের সবচেয়ে বড়ো ভক্ত ছিলেন হনুমান। হনুমান রামের পক্ষ থেকে রাবনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। তাহলে রাম কেন নিজের এত বড়ো ভক্তকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন?
রামায়নে রাম রাবনকে বধ করার পরে। রাম অযোধ্যার রাজা হন। একবার মহান ঋষি এবং ব্রাহ্মনগন রামের সভাতে উপস্থিত হন। ওখানে ঋষি নারদ, বিশ্যামিত্র ও আরও অনেক ঋষিরা ওখানে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা তাদের মধ্যে আলোচনা করতে থাকে যে রামের নাম কি রামের অস্তিতের থেকে বড়ো। কিন্তু নারদ মুনি মনে করতেন যে রামের নাম রামের থেকে বড়। এটায় তিনি প্রমান করার জন্য একটি ছলের রচনা করেন। সভা শেষ হলে নারদ মুনি হনুমানের কাছে গিয়ে বলে যে সে সব ঋষিদেরকে অভিনন্দ জানাতে বলে শুধুমাত্র বিশ্যামিত্রকে ছাড়া। নারদের কথা অনুযায়ী হনুমান বিশ্যামিত্রকে ছাড়া সবাইকে অভিনন্দ জানালেন। বিশ্যামিত্র এই হনুমানে এই ব্যবহার দেখে হনুমানে উপর ক্রোধিত হয়ে যান। এবং রামকে বলেন হনুমানকে হত্যা করতে। বিশ্যামিত্র যেহেতু রামের গুরু ছিলেন তাই গুরুর কথা অমান্য করতে না পারায় হনুমানের উপর আক্রমণ করেন রাম। হনুমান তখন কিছুই বুঝতে পারেন না তখন নারদ মুনি তাকে রাম নাম জপ করার পরামর্শ দেন। তারপর হনুমান একটি গাছের তোলায় বসে রাম নাম জপ করতে থাকে।
রাম যখন তাকে হত্যা করার জন্যে তীর ছোড়েন তখন রাম নাম জপ করার জন্যে রামের কোনো তীরই হনুমানকে আহত করতে পারেনি। তারপর রাম হনুমানকে হত্যা করার জন্যে অনেক অস্ত্রে প্রয়োগ করেন কিন্তু কোনো অস্ত্রই হনুমানকে আহত করতে পারেন না। এই দেখে রাম অবশেষে ব্রহ্মাস্ত্রও প্রয়োগ করার কথা ভাবেন। আর এটি জানতে পেরে নারদ মুনি বিশ্যামিত্রের কাছে গিয়ে সকল কথা জানান। বিশ্যামিত্র আসল সত্য জেনে রামকে তার বচন থেকে মুক্ত করেন।