চুলের যত্নে তেলের উপকারিতা কথা আমরা সকলেই জানি ।চুল পড়া, চুলের আগা ফাটা প্রভৃতি সমস্যা আমাদের প্রায় সকলেরই কমবেশি হয় ।আর সেই জন্যেই নিয়মিত তেল ব্যবহার করে চুলের যত্ন নেওয়াটা খুবই দরকারী ।চুলে মূলত আমরা নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল প্রভৃতি ব্যবহার করি।তবে জানেন কি তিলের তেল ও চুলের সমস্যার সমাধানে নেহাত কম উপকারী নয় ।
আসুন তাই জেনে নেওয়া যাক তিলের তেল দিয়ে কিভাবে নেবেন চুলের যত্ন ।
1)উকুন থেকে মুক্তি পেতে
ঘরের ছোটদের প্রায়ই উকুনের সমস্যায় ভুগতে হয় ।আর তা থেকে আপনারও হতে পারে উকুন ।এই উকুন কিন্তু চুলের ক্ষতি করে প্রচন্ড ।সহজে উকুন থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না ঠিকই তবে তিলের তেল ব্যবহার করলে কোনরকম রাসায়নিক তেলের ব্যবহার ছাড়াই মুক্তি পেতে পারেন উকুনের হাত থেকে ।
কিছুটা তিলের তেল ও কয়েকটি নিমপাতা ভালো করে গরম করে নিন প্রথমে। এরপর তা মাথার স্ক্যাল্পে ভালো করে ঘষে ঘষে লাগান ।গোটা চুলে ভালো করে লাগানো হয়ে গেলে অপেক্ষা করুন দু’ঘণ্টা ।এরপর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। পরপর কয়েকদিন এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে উকুন তো দূর হবেই সেই সাথে চুল ও হয়ে উঠবে ঝলমলে ।
2)খুশকি বা ফাংগাল ইনফেকশন থেকে মুক্তি পেতে
খুশকির সমস্যায় আমরা সকলেই কমবেশি ভুগি ।স্ক্যাল্পের শুষ্কতা থেকেই মূলত এই সমস্যা হয়। অনেক সময় আবার গরমকালে স্ক্যাল্পে দেখা যায় ফাংগাল ইনফেকশন ও। এগুলোর ফলে চুল ও স্কাল্প ভীষণ রকম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এগুলো থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব ।তবে চিন্তার কিছু নেই। নিয়মিত ব্যবহার করে দেখুন তিলের তেল ।
প্রত্যেকদিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে মাথায় তিলের তেল লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন কিছুক্ষণ। পর দিন সকালবেলা উঠে শ্যাম্পু করে নিন ভালো করে দেখবেন এই সমস্ত সমস্যা থেকে পেয়েছেন মুক্তি ।চাইলে তিলের তেলের সাথে অল্প কিছুটা মেথি ফুটিয়ে নিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।এতে খুশকি তো দূর হবে সেইসাথে চুল হয়ে উঠবে ঘন এবং কালো ।
3)ড্যামেজ চুল থেকে মুক্তি পেতে
দূষণ, চুলের অযত্ন প্রভৃতি কারণে চুল হয়ে যেতে পারে ড্যামেজ।এই ড্যামেজ চুল ম্যানেজ করা হয়ে ওঠে বেশ কষ্টসাধ্য তবে চিন্তার কোন ব্যাপার নেই ।সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার একটি পাকা এভোকাডো, তিলের তেল ভালো করে মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন।এরপর পুরো চুলে ভালো করে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করুন এক ঘন্টা পর ।পরপর দু’তিন সপ্তাহ এটি ব্যবহার করলেই দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে সুন্দর ও রেশমি ।