শরীরের ক্ষতিকর টক্সিনও দূর করতে পারে। এলাচের অসাধারন কিছু উপকারিতা

এলাচ সবার রান্নাঘরেই থাকে। ছোট্ট ছোট্ট এই ফলগুলো সব খাবারের সুবাস বাড়িয়ে তোলে। এজন্য বিভিন্ন তরকারিতে ব্যবহার করা হয় এই মসলা। এ ছাড়াও পিঠা-পায়েসের মধ্যেও একটি বা দুটি এলাচ না দিলে তো চলেই না। 

  এমনকি মশলা চায়ের অন্যতম এক উপকরণ হলো এলাচ। শুধু তাই নয় খাওয়ার পর মুখশুদ্ধি হিসেবেও অনেকেই এলাচ খায়। 

কিন্তু এই এলাচেরই রয়েছে নানান উপকারিতা-

  • অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করা থেকে শুরু করে পরিপাকতন্ত্র সক্রিয় রাখতে ও হজম বাড়াতে এলাচ অনেক উপকারী। এ ছাড়াও বুক জ্বালা, বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি পেতে মুখে একটি এলাচ রাখলে তা থেকে মুক্তি মেলে।
  • শরীরের ক্ষতিকর টক্সিনও দূর করতে পারে এলাচ। যাদের ত্বকে অল্প বয়সেই ছাপ পড়তে শুরু করেছে, তারা নিয়মিত সকালে খালি পেটে এলাচ ভেজানো জল খেলে তাহলে বলিরেখা কমতে শুরু করবে।
  • যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে , তারা মধু, লেবুর রস ও গরম জলে একটি এলাচ মিশিয়ে পান করলে উপকার পাবে। 
  • এলাচ হাঁপানি ও হৃদরোগ নিরাময় করে। কারণ এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এ ছাড়াও এলাচ রক্তসঞ্চালনেও সহায়ক। তাছাড়াও এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব ঠিক থাকে।
  • মাড়ির ইনফেকশন, মুখের ঘা’সহ দাঁত ও মাড়ির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে এলাচে থাকা পুষ্টিগুণ। মুখে বেশি দুর্গন্ধ হলে একটি এলাচ খেলে মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।
  • গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এলাচ খেলে ক্যানসারও প্রতিরোধ করা যায়। এলাচ দেহে ক্যানসারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে।
  • পেশিতে টান ধরার সমস্যা থেকেও রক্ষা করে ছোট্ট এক টুকরো এলাচ। এক্ষেত্রে, ছোট বা বড় এলাচ গরম জলে ফুটিয়ে খেলে দ্রুত স্বস্তি মিলবে।
  • মাথাব্যথাসহ মানসিক চাপ মুহূর্তেই দূর করতে সাহায্য করে এলাচ মিশ্রিত চা। এজন্য গরম জলে চা পাতা, এলাচ গুঁড়ো ও মধু দিয়ে ফুটিয়ে তৈরি করুন এলাচ চা।
  • এলাচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে শুরু করে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বেশ উপকারী।

এলাচ খেলে শারীরিক নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *