ওয়েব ডেস্কঃ করোলা। এই সবজির নাম শুনলেই অনীহা আসে আট থেকে আশি সকলেরই। তবে বাঙালি একাধিক রান্নায় ব্যবহার করা হয় এই করলা। বিশেষ করে এর গুনের জন্য বিশেষভাবে বিখ্যাত এই করোলা।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ করলাতে পলিপেপটাইড পি আছে যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমান কমায়।এছাড়া করলা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজ হঠাৎ বাড়া বা কমা প্রতিরোধ করে।এটা ডায়াবেটিস টাইপ-১ টাইপ-২ উভয় রোগীদের ক্ষেত্রেই রক্তে গ্লুকোজের পরিমান কমাতে পারে।এটি একটি শক্তিশালী হাইপোগ্লাইসিমিক আজেন্ত।তাই যারা ডায়াবেটিসের ওষুধ খাচ্ছেন তাঁরা এটি খাওয়ার আগের আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
খারাপ কোলেস্টেরল কমায়ঃ করলা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমান কমায়। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম কমায় এবং উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া করলাতে প্রচুর আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড আছে যা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়ঃ করলাতে আমাদের দৈনিক চাহিদার এক তৃতীয়াংশ ভিটামিন এ আছে।স্বাস্থ্যকর দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন এ-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। করলাতে প্রচুর ভিটামিন আছে যা ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করে এবং নাইট ভিশন বাড়ায়।
লিভার সুরক্ষায়ঃ প্রতিদিন এক কাপ করে করলা রস খেলে এটি লিভারকে টক্সিক পদার্থ মুক্ত করে এবং গলব্লাডারের স্বাভাবিক কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায়।করলা রসকে লিভারের টনিকও বলা হয়। যা লিভারে সিরোসিস, হেপাটাইটিস কোষ্ঠকাঠিন্যের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।
রক্ত পরিষ্কার করেঃ করলার রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত খেলে এটি রক্ত পরিষ্কার করে।ফলে ত্বকে ব্রন সোরিয়োসিস একজিমা দূর করে ত্বকে উজ্জলতা বাড়ায়।
কিডনির পাথর বের করতে সাহায্য করেঃ কিডনিতে পাথর হলে খুব যন্ত্রণা দেখা যায়। এই অবস্থায় শরীরে অ্যাসিডিটি অনেক বেড়ে যায়।করলা কিডনির পাথরকে ছোটো ছোটো টুকরে ভেঙ্গে প্রসাব দিয়ে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে।এছাড়া করলা অ্যাসিডিটি কমিয়ে নতুন পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।