ভিটামিন –এ এর অভাব হল পৃথিবীর অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ।শুধুমাত্র অন্ধত্বের ভিটামিন-এ এর অভাবে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়।।যার ফলে নানান রোগের শিকার হতে হয়।তাই যারা ভিটামিন ‘এ’ যুক্ত খাবার কম খায় বা খেতে পায় না তাদের ভিটামিন –এ এর অভাবজনিত বিভিন্ন রোগ হতে পারে ।
রাতকানা (Night Blindness)
ভিটামিন-এ এর অভাবে প্রাথমিক সমস্যা হল রাতকানা রোগ।যার ফলে রাতের বেলায় অল্প আলোতে রোগী চোখে দেখতে পায় না। তবে এই রোগটি সারাতে গেলে ভিটামিন–এ খাওয়া উচিত যার ফলে রোগী রাতে ভালো দেখতে পাবে।
জেরপথালমিয়া (Xeropthalmia)
জেরপথালিমিয়া ফলে কর্নিয়া(Cornea) ঘোলাটে হয়।এই রোগের জন্যে চোখের আবরণ কনজাষ্কটিভা (Conjunctiva) শুষ্ক ও পুরু হয়ে যায় ও Bulbar Conjunctiva ঘোলাটে বর্ণ ধারণ করে এবং সাদা Bitots spots দেখা দেয়। এই রোগটি সাধারণত ভিটামিন-এ এর অভাবে ঘটে থাকে।এই রোগে শিশুরাও আক্রান্ত হয়ে থাকে।এতে ভিটামিন-এ এর অভাবে পাশাপাশি প্রোটিন ও শক্তির ঘাটতি থাকতে পারে।তবে এই রোগটি ছোটো বেলায় চিহ্নিত করা অন্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, একবার কর্ণিয়া আক্রান্ত হলে তা দ্রুত কেরাটোম্যালাসিয়াতে গড়াতে পারে । জেরপথালমিয়া হল রাতকানার পরবর্তী পর্যায়।
কেরাটোম্যালাসিয়া (Keratomalacia)ঃ
এই রোগটিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রন্ত হয় পাঁচ বছরের শিশুরা ।এটি রাতকানা ও জেরপথালমিয়া রোগের পরবর্তী স্টেজ।যার ফলে কর্ণিয়া মরে যায় এবং ক্ষত সৃষ্টি হয়।যদি এই রোগের দ্রুত ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা করা না হয় তাহলে অন্ধত্বে পরিনত হতে পারে অথবা সহযোগী রোগের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।এই রোগটি মূলত দীর্ঘ দিন যাবৎ ভিটামিন–এ অভাবে এ রকম অবস্থার সৃষ্টি হয় ।
অতিরিক্ত চুল পড়া ও পেকে যাওয়া
অতিরিক্ত চুল পড়া ও তাড়াতাড়ি চুল পেকে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে ভিটামিন বি৭ (বায়োটিন), ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে অভাব।তবে অনেকেই মনে করেন যে এইগুলির কারন হচ্ছে যত্নের অভাব বা কসমেটিকের জন্য।তবে এই ধারণাটি ভুল।অতিরিক্ত চুল পড়া ও তাড়াতাড়ি চুল পেকে যাওয়ার ভিটামিন বি৭ (বায়োটিন), ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে অভাবজনিত সমস্যা।
শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত
ভিটামিন-এ মানবদেহের সঠিক বিকাশের একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। তাই যেসব শিশু দেহে ভিটামিন-এ অভাব হয় তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
তবে ভিটামিন এ অভাব পূরন করতে হলে বেশি করে ভিটামিন এ যুক্ত খাদ্য খান।যেমন- বিভিন্ন মাছের যকৃতের তৈল,দুধ, মাখন, মাছ, ডিমের কুসুম,বাধাকপি, টমেটো, পালং শাক, গাজর, আম, পেয়ারা ইত্যাদি।