ভিটামিন-কে হল এসেনশিয়াল ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন। এটি হাড় ও হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে সাহায্য করে। ভিটামিন ‘কে’আমাদের দেহে প্রথ্রোম্বিন নামক প্রোটিন তৈরি করে।যার ফলে প্রথ্রোম্বিন রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও আমাদের শরীরে ভিটামিন কে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
হাড় ভাল রাখে: আমরা জানি যে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন-ডি।তবে আপনারা কি জানেই যে ভিটামিন-কে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি এটি হাড়ের ফ্র্যাকচার কমাতে সাহায্য করে।
হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে: ভিটামিন-কে হৃৎপিণ্ডের জন্য খুবই উপকারী। তাই এটি কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ ও হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করে।এবং এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনেও সহায়তা করে।
ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে: ভিটামিন-কে আমাদের শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে।তাই এটি কোলন, পাকস্থলী, লিভার, মুখগহ্বর, প্রোস্টেট প্রভৃতি ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।
ঋতুস্রাবের ব্যথা কমায়: ঋতুস্রাবের সময় মহিলাদের পেটে ব্যাথা হয়।আর এই ভিটামিন ঋতুস্রাবের সময় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কারন এটি হরমোনের কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণকরতে পারে।
মস্তিষ্কের কার্যক্রম বৃদ্ধি করে: ভিটামিন-কে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।এই ভিটামিনের মধ্যে আছে প্রদাহরোধী উপাদান। যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে কাজ করতে সহায়তা করে।এছাড়াও আলঝেইমার, পারকিনসন ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন কে এর অভাবজনিত রোগঃ ১) রক্ততঞ্চন ব্যহত হয়।
২) অনবরত রক্তক্ষরন হয়।
৩)পিত্তের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়।
তবে ভিটামিন কে অভাব পূরন করতে হলে বেশি করে ভিটামিন কে যুক্ত খাদ্য খান।যেমন- অলফালফা,কপি,টমেটো, পালং শাক ইত্যাদি প্রচুর পরিমানে, এছাড়াও দুধ, মাখন, শূকরের যকৃতে কিছু পরিমানে বিদ্যমান।