নিউজ ডেস্ক – দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে আমেরিকার সঙ্গে দ্বন্দ্বে রয়েছে চীন। বরাবরই তাইওয়ানকে দখল করে সেখানকার স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে চীনের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু আমেরিকানরা তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করায় আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধে নামতে সাহস পাচ্ছেনা চীন। তাইওয়ানে বহুদলীয় গনতন্ত্র ৭০ বছর ধরে গনতন্ত্র চর্চা করে আসছে আর চীন একদলীয় কমিউনিস্ট স্বৈরতন্ত্র। সেই কারণে তাইওয়ানের জনগণের ঘোর আপত্তি আছে। এছাড়াও তাইওয়ানের নাগরিকদের মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ জনগণ স্বাধীনভাবে তাইওয়ানে থাকার মত প্রকাশ করেছেন। যার কারণে আমেরিকার শক্তির সামনে এবং তাইওয়ান জনগণের সম্মতি না থাকায় এখনো পর্যন্ত সেই দিয়ে দখল করে উঠতে পারেনি চীন সরকার।
চীনের রাষ্ট্রপতি সি জিনপিং-য়ের কার্যকালের মধ্যে করতে বদ্ধ পরিকর। কারণ পূর্বে দেং জিয়াওপিং-য়ের আমলে হংকং এবং ম্যাকাও চীনের দখলে আসে। মাও সেতুং তিব্বত জিনজিয়াং ইনার মঙ্গোলিয়া দখল করেন। তাইওয়ানকে চীনের সাথে মিশিয়ে জিনপিং নিজের নাম অমর করতে চান। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা গনতন্ত্র প্রিয় তাইওয়ানের জনগণ। দ্বিতীয় বাধা আমেরিকা – জাপান সামরিক জোট যাতে ভারত সঙ্গত দেবে। সারা পৃথিবীর বাকি গনতান্ত্রিক দেশ সমূহ। চীন আমেরিকার যুদ্ধ জাহাজ যাতে তাইওয়ান প্রনালীতে ঢুকতে না পারে। কিন্তু গত দুই মাসে সাত বারের বেশি আমেরিকান যুদ্ধ জাহাজ ঢুকেছে।তার জন্য দুর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করেছে। তাইওয়ান পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা করলেই চীন আক্রমণ করবে। কিন্তু আমেরিকার শক্তির সামনে যুদ্ধ ঘোষণা করতে সাহস পাচ্ছে না চীন। এ কারণেই বিকল্প রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করছে চীনা সরকার। যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্রের দিক থেকে শক্তিশালী না হলেও অর্থনৈতিক দিক থেকে গোটা বিশ্বে শিখরে রয়েছে চীনের নাম। সেই জন্য বিকল্প পন্থা অবলম্বনে তৎপর হয়ে উঠেছে তারা। আর তাই অর্থনৈতিক দিক থেকে তাইওয়ানকে পরাস্থ করতে বদ্ধ পরিকর চীনা সরকার।