ইভিল ডেড এর বইটির কথা মনে আছে? যে বইটিতে লেখা ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী বেশকিছু যাদুবিদ্যার মন্ত্র যা পাঠ করলে সঙ্গে সঙ্গে শয়তান জাগ্রত হয়ে উঠতো।বলা হয় ঠিক এমনই একটা বই প্রায় হাজার বছর আগে পৃথিবীতে সত্যি করেই লেখা হয়েছিল। জাতি ছিল সমস্ত শয়তানের দুনিয়ার কালো জাদুর মন্ত্র। বলা হয় ওই বইয়ের কাল বিদ্যার জোড়ে পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যা করা সম্ভব ছিল না।
বিশ্বের রহস্যময় আলোচিত বইটি কোথায় আছে? কি ছিল ওই বই য়ে লেখা!তা কেউই আজ ঠিক করে বলতে পারে না। তবে বইটিকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই সাধারণ মানুষের মধ্যে। বিংশ শতকের গোড়ার দিকে খ্যাতনামা মার্কিন লেখক এইচ. পি . লাভক্রাফট বইটি নিয়ে মুখ খোলেন এবং পরবর্তীকালে তার বিভিন্ন লেখায় এই গ্রন্থের উল্লেখ পাওয়া যায়।
গ্রন্থটির নাম “নেক্রোনমিকন “।যতদূর জানা যায় গ্রন্থটি আসলে আরবি ভাষায় লেখা। পরে এর গ্রীক অনুবাদ ইউরোপের রহস্যবাদী কাল্ট গুলোর হাতে পৌঁছায়।মনে করা হয় এই গ্রন্থের আসল লেখক আবু আলী আল হাসান নামক এক আরব। তাকে দামাস্কাসে ‘আরব আব্দুল’ বলে ডাকা হতো।ইউরোপে তিনি ‘দ্য ম্যাড অফ আরব’বলে পরিচিত ছিলেন।তার আসল পরিচয় আজও জানে না কেউ ।তবে মনে করা হয় যে 887 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ তিনি জীবিত ছিলেন। ‘ইরাম’ নামক এক গুপ্ত শহরে তিনি দশ বছর বয়স থেকে গুপ্ত চর্চা শুরু করেন।তারপরেই ‘আজিফ’ ছদ্মনামে তিনি গ্রন্থটি লেখেন।
ঠিকই রয়েছে এই বইটিতে লেখা তার সম্পর্কে কারণ সঠিক ধারণা না থাকলেও লাভক্রাফটের মত অনেক সাহিত্যিক এর মতে এই বইটি একটি কালো জাদুর খনি।তাদের মতে এই বইতে পিশাচ কে জাগ্রত করার উপায় থেকে মৃত ব্যক্তি কে জাগ্রত করার উপায় অব্দি সমস্ত কিছু লেখা রয়েছে। যে ব্যক্তি এই বইটি পড়তে পারবে জগতের সমস্ত রহস্য তার হাতের মুঠোয় চলে আসবে বলে মনে করা হয়। মধ্যযুগের ইউরোপে যখন ডাকিণীবিদ্যা চর্চার তুঙ্গে তখন নেক্রোনমিকন নিয়ে চর্চা তুঙ্গে পৌঁছায়। অসংখ্য মানুষ সন্ধান করতে থাকে বইটি। সেই সময় বেশ কিছু ঠগ মানুষ নেক্রোনমিকন নাম দিয়ে কিছু ভুয়ো বই বাজারে ছাড়তে থাকেন। 1987 সালে লাভক্রাফট নেক্রোনমিকনের ইতিহাস নিয়ে একটি গল্প বই রচনা করেন। যা 1938 এ প্রকাশ পেলে তুমুল হৈচৈ পড়ে যায় প্রাশ্চাত্যে।
যদিও আসল নেক্রোনমিকন বই থেকে আজ পর্যন্ত কেউই খুঁজে পাইনি কোথাও তবুও বিপুল পরিমাণ মানুষেরা যদি ধারণা যে বিশ্বের কোথাও না কোথাও সযত্নে লুকানো রয়েছে এই অত্যন্ত শক্তিশালী বইটিকে ।