ঘুমের সাথে চোখের সম্পর্ক জড়িত।চোখ তথা দেহ মনকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য কিছু সময় ঘুমের স্বেচ্ছায় চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নেওয়া হয়।ঘুমের নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই।সেই কারনে বিভিন্ন ব্যাক্তি বিভিন্ন সময়ে ঘুমোয়।কিন্তু সাধারণত আমরা রাত্রেই ঘুমোয়।তার কারন এই সময় পরিবেশ শান্ত ও অন্ধকার থাকে এবং ছোটো থেকে অভ্যাস হয়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বৃদ্ধি করে: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বা কম হলে আমাদের শরীরের ‘লিভিং অরগানিজম’গুলো ঠিক মতো কাজ করতে পারে না।যার ফলে নষ্ট হতে পারে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য এবং বাড়তে পারে উচ্চ রক্তচাপ ও হাইপার টেনশনের মতো সমস্যা।
হার্টের সমস্যা বৃদ্ধি করে: প্রতিনিয়ত কম ঘুমের ফলে কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা বাড়তে থাকে। এর ফলে হার্টের সমস্যা বাড়তে থাকে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়: প্রতিনিয়ত কম ঘুম বা না ঘুমানোর ফলে ডায়াবেটিসের সমস্যা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে।যার কারন হল শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন ব্যহত।
হজমের সমস্যা বৃদ্ধি করে: প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আমাদের শরীরের পাচন ক্রিয়ায় সাহায্যকারী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে খাবার হজমে সহায়ক পাচক রসগুলি উপযুক্ত মাত্রায় নিঃসরণে বাধা পায়। তাই হজমের নানা সমস্যা শুরু হয়।
তাই অনিদ্রা থেকে মুক্তি পেতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলুন
১) মন থেকে টেনশন, চিন্তা দূর করে বন্ধুবান্ধবদের সাথে প্রান খুলে কথা বলুন।
২)প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান।বেশি রাত্রি করে খাবেন না।সকালে ঘুম থেকে ওঠার কথা যেন মাথায় না থাকে।
৩)দুপুরে দীর্ঘ ঘুমের অভ্যাস করবেন না।
৪)শোয়ার আগে সিনেমা বা উত্তেজক বই পড়বেন না।
৫)হাত পা পরিষ্কার করে ধুয়ে তারপর ঘুমাতে যাবেন।চোখ বুজে শান্ত হয়ে ভাবুন আপনি ঘুমাচ্ছেন।
৬)দেহ প্রয়োজনীয় অক্সিজেন না পেলে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে কার্বনডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে গেলে আমরা বেশি ঘুমায়,বেশি ঘুমও মনের অসুখ।