টিয়া পাখিকে বিপদগ্রস্ত পাখি বলার পেছনে কি কারন রয়েছে?

টিয়া পাখিকে বিপদগ্রস্ত পাখি বলার পেছনে কি কারন রয়েছে?

নিউজ ডেস্কঃ সবুজ টিয়া (বৈজ্ঞানিক নাম:Psittacula krameri) টিয়া প্রজাতির অতিপরিচিত ও সুদর্শন পাখি। সবুজ টিয়া সহজেই পোষ মানে এবং মানুষের মতো করে কথা বলতে পারে। এরা সাধারণত বন, বৃক্ষবহুল এলাকা, প্রশস্ত পাতার বন, আর্দ্র পাতাঝরা বন, খোলা বন, পাহাড়ি বন, চা-বাগান, বসতবাড়ির বাগান, আবাদি জমি, পুরোনো বাড়িতে বসবাস ও বিচরণ করে।বিগত কয়েক দশক ধরে বেশ কিছু জায়গায় এর সংখ্যা কমে আসছে। তবে এখনও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি বলে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।

সবুজ টিয়ার ছানা গর্তের মধ্যে থাকে। টিয়ারা সাধারণত ফুল, ফল, লতাপাতা, বীজ ও ফলের মিষ্টি রস। ধানখেতের পাকা ধানও সবুজ টিয়ারা খায়।

এদের দেহের দৈর্ঘ্য ৪২ সেন্টিমিটার, ওজন ১৩০ গ্রাম। সামান্য কিছু পালক ছাড়া পুরো দেহই সবুজ। ঠোঁট লাল, নিচের দিকে বড়শির মতো বাঁকানো। চোখ হলদে-সাদা। ছেলেপাখি ও মেয়েপাখির গলায় ভিন্ন রঙের দাগ আছে। ছেলেপাখির থুতনিতে কালো রেখা, গলা ও ঘাড়ের পেছনে গোলাপি পাটল বর্ণ। মেয়েপাখির ঘাড় পান্না সবুজে ঘেরা।এর ঠোঁট টুকটুকে লাল। গলায় গোলাপী একটা রিঙ রয়েছে। এর লেজ অনেক লম্বা ও সুচালো।

সবুজ টিয়া সচরাচর ছোট দলে থাকে, তবে জোড়ায়ও দেখা যায়। টিয়ার মধ্যে অনেক প্রজাতি আছে, যা অনেকেই খেয়াল করেন না। প্রায় ৬ প্রকার টিয়া পাওয়া যায়।

বর্তমানে প্রচুর পরিমানে টিয়া অবৈধভাবে ধরা ও বিক্রি হয়।  অবৈধ শিকার টিয়া পাখির জীবন বিপদগ্রস্ত করে তুলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *