নিউজ ডেস্কঃ তুলসি পাতা যা সবসময় শ্রীকৃষ্ণের চরনে অর্পণ করা।সেই তুলসি পাতার কাছে নাকি হেরে গিয়ে ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ?কি এমন হয়েছিল যে একটি তুলসি পাতা জগতের পালনকর্তা হারিয়ে দিতে পেরেছিলেন?
একদিন নারদ মুনি পরীক্ষা করার জন্য চালাকি করে সত্যভামা দেবীর কাছ থেকে পুজোর দান স্বরূপ শ্রীকৃষ্ণকে চেয়ে নিলেন। সত্যভামা দেবী এরপর কোন উপায় না পেয়ে পতি হারানোর কষ্টে অত্যন্ত কাঁদতে লাগলেন। পতির জন্য তার এই রকম কষ্ট দেখে নারদ মুনি প্রসন্ন হলেন এবং কৃষ্ণকে ফিরিয়ে দিতে শেষমেষ রাজি হলেন।কিন্তু শর্ত একটা ছিল কৃষ্ণের সমপরিমাণ ওজনের অলংকার তাকে দান করতে হবে।কোনো উপায় না পেয়ে সত্যভামা দেবী ধীরে ধীরে তার সমস্ত অলংকার আনতে শুরু করলেন এরপর এক পাল্লায় কৃষ্ণ কে বসিয়ে এবং অপর পাল্লায় তার অলংকার গুলিকে রাখতে শুরু করলেন কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে কোনোভাবেই অপর পাল্লা কৃষ্ণের সম্মান করা যাচ্ছিল না।
শেষমেশ বাধ্য হয়ে সত্যভামা তার দেহের সমস্ত অলংকার পর্যন্ত খুলে দিতে লাগলেন কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে কোনোভাবেই অপর পার্লার কৃষ্ণের সমান করা যাচ্ছিল না এবং চিন্তা করতে লাগলেন কৃষ্ণকে মনে হয় আর তার ফিরে পাওয়া হলো না এই ভেবে পতি বিরহের জন্য কাঁদতে লাগলেন সত্যভামা। সত্যভামা ভুলে গিয়েছিলেন হাজার হাজার বছর তপস্যা করেও যাকে লাভ করা সম্ভব নয় তাকে এই ছোটখাটো অলংকার দিয়ে কিভাবে লাভ করা সম্ভব। কিন্তু শেষমেশ ভগবানের করুণায় রুক্মিণী দেবী শ্রীকৃষ্ণকে জয় করার এক মহা কৌশল শিখিয়ে দিলেন সত্যভামা দেবীকে।
রুক্মিণী দেবীর কথামতো শুদ্ধ প্রেম ভক্তি সহকারে একটি তুলসী পাতা সত্যভামা যেই পাল্লায় ওপর রাখলেন সাথে সাথে শ্রীকৃষ্ণের পাল্লা ওপরে উঠে গেল এবং অপর পাল্লা নিচে নেমে গেল। শেষ পর্যন্ত ভক্তের ভালোবাসার কাছে ভগবান এভাবেই নিজেকে ধরা দিলেন এবং নারদ মুনি প্রসন্ন হয়ে ফিরে গেলেন। তাই একটি তুলসী পাতার ওজন কত খানি এবং শ্রীকৃষ্ণ কেন হার মেনে ছিলেন একটি তুলসী পাতার কাছে।