নিউজ ডেস্কঃ বিজ্ঞানের অগ্রগতি মানবসভ্যতার এক আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। খাদ্য থেকে শুরু করে বাসস্থান যানবাহন বিজ্ঞানের অগ্রগতির চাপ সবকিছুতেই।বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জনসংখ্যার প্রবল চাপে দেখা দিয়েছে খাদ্যের অভাব। কিন্তু বিজ্ঞান এখানেও আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বিজ্ঞানের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে বেশকিছু হাইব্রিড প্রাণী যার মধ্যে বেশ কিছু প্রাণী মানুষের খাদ্যাভাব মোচন করতে পারবে। কিন্তু সমস্ত হাইব্রিড প্রাণীই যে খাদ্যাভাব ঘোচানোর জন্য তৈরি হয়েছে এমনটা নয়। অনেকসময়ই বিজ্ঞানের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ভুলবশত ও বেশ কিছু হাইব্রিড প্রাণীর সৃষ্টি হয়।এদের মধ্যে বেশ কিছু অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া যায়।
ট্রান্সপারেন্ট ফ্রগ।
ব্যাঙ আমরা সবাই ই দেখেছি।এটা আর নতুন কথা কি? ব্যাঙ যে বিভিন্ন রঙের হয় তাও আমরা জানি। তবে বিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে আর এক নতুন প্রজাতির ব্যাঙ। এই ব্যাঙের শরীরের বাইরে থেকেই দেখা যায় এর শরীরের ভেতরের প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কারণ এদের শরীর ট্রান্সপারেন্ট, জেলির মত হয়ে থাকে। জাপানি এক বিজ্ঞানী ল্যাবে বিভিন্ন ব্যাঙের জিনের মিশন ঘটিয়েই নতুন প্রজাতির ব্যঙটি সৃষ্টি করেছেন।এর মূল লক্ষ্য ছিল মেডিকেল নিয়ে পড়ার সময় যাতে ব্যঙ নিয়ে গবেষণার সময় তার শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্পষ্টভাবে বাইরে থেকেই বোঝা যায়।
ট্রান্সপারেন্ট গোল্ডফিশ।
যেকোনো রকম অ্যাকোয়ারিয়ামে গোল্ড ফিস আমরা সকলেই দেখেছি। যদিও গোল্ডফিসের দাম বেশ বেশি তবুও একুরিয়ামের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গোল্ডফিসের কোন জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু ট্রান্সপারেন্ট গোল্ডফিসের কথা প্রায় কেউই শোনেনি। এটিকেও জাপানের এক ল্যাবে এক বিজ্ঞানী তৈরি করেছেন এবংট্রান্সপারেন্ট ফ্রগের মতোই ট্রান্সপারেন্ট গোল্ডফিশের শরীরের বাইরে থেকেই তার ভেতরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কিভাবে কাজ করে তা বোঝা যায়। এই কেউ মেডিকেল স্টুডেন্টদের পড়াশোনার সুবিধার্থেই বানানো হয়েছিল যাতে তারা মাছের গঠন সম্পর্কে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারে।
ফার্মাসিউটিক্যাল ক্যামেল।
আমরা অনেকেই জানিনা যে আমাদের গ্রহণ করা বেশিরভাগ চকোলেট ই উটের দুধ থেকে তৈরি হয়। সেই কারণে গোটা বিশ্বজুড়ে উটের দুধের চাহিদা অত্যন্ত বেশি কিন্তু সেই পরিমাণে উৎপাদন কম। তাই বিজ্ঞানীরা সাধারণ উদ্দিন এবং অন্যান্য বৈজ্ঞানিক দিনের হাইব্রিড নিয়ে এক নতুন প্রজাতির উট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।অবাক করার বিষয় হলো এই অসাধারণ উঠে থেকে 10 গুণ বেশি দুধ দিতে সক্ষম এবং এরা অনেক বেশি গরমের মধ্যেও বেঁচে থাকতে পারে। এবং এই ধরনের উটের দুধের দাম কম হওয়ায় বিভিন্ন ডাইরি এবং ড্রাগ কোম্পানিগুলো সাধারণত এই উটের দুধ ই ব্যবহার করে থাকেন।
কিলার বি
সাধারণ মৌমাছির কথা তো আমরা সকলেই শুনেছি। মৌমাছির দংশন যে কতটা যন্ত্রনাদায়ক হতে পারে তাও আমরা সকলেই জানি। কিন্তু কিলার মৌমাছির নাম কি আপনি কখনো শুনেছেন?এরাও দেখতে সাধারণ মৌমাছির মতই হয়। তবে, মধুর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নতুন প্রজাতির মৌমাছি তৈরি করতে গিয়ে ভুলবশত এই মৌমাছি সৃষ্টি করে ফেলেছে বিজ্ঞানীরা। সাধারণত সাউথ আমেরিকাতে এদের দেখা পাওয়া যেতো। এরা সাধারণ মৌমাছির থেকে অনেক বেশি পরিমাণে মধু সৃষ্টি করতে পারে। তবে এদের এক ভয়ঙ্কর বৈশিষ্ট্য হলো এরা প্রচন্ড বিষাক্ত এবং নিজেদের উৎপাদিত মধু নিয়ে এরা খুবই বেশি সংরক্ষণশীল। কাউকে যদি এদের থ্রেট বলে মনে হয় কেউ যদি মধু নেওয়ার চেষ্টা করে তবে এরা তাকে মেরে ফেলবে।এবং এরা এতই বিষাক্ত যে এদের দংশনের চিকিৎসা সঠিক সময়ে করা না হলে মৃত্যু অনিবার্য।
সুপার কাউ
আপনি যদি শহরের বাসিন্দা হয়ে থাকেন তবে আপনিও হয়তো এই ধরনের গরুর দুধ পান করে থাকেন। সেই আঠারো শতকে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বেশি গরুর দিন ও অন্যান্য কিছু বৈজ্ঞানিক একত্র করে এই নতুন প্রজাতির গরুর সৃষ্টি করা হয়েছে। এই ধরনের গরু সাধারণ গরুর থেকে প্রায় চারগুণ বেশি দুধ দিতে সক্ষম। এরা আকারে অসাধারণ গরুর থেকে অনেক বেশি বড় হয়।