অভিমন্যু হলেন মহাভারতের বীর যোদ্ধাদের মধ্যে একটি।যার পরাক্রমের কথা আমরা সবাই জানি।তার এই পরাক্রমের জন্যে তার নামকে অমর করে দিয়েছেন।তাই মহাভারতের এই যোদ্ধা কথা ইতিহাসেও উল্লেখ্যিত আছে।অভিমন্যু এই ১৬ বছর বয়সে মৃত্যু বরন করার পিছনে রয়েছে একটি কাহিনী।যার জন্যেই অভিমন্যু ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন।জানুন সেই কারন।
অভিমন্যু ছিলেন মহাবীর অর্জুন ও সুভদ্রার পুত্র এবং শ্রীকৃষ্ণের ভাগ্নে।অভিমন্যু তার শৈশবকাল কাটিয়েছিলেন দ্বারকাতে।তিনি তার পিতা অর্জুনের দ্বারা প্রশিক্ষিত হন এবং তার মামা শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশনায় লালিত হয়েছিলেন।অভিমন্যু চক্রবিহুতে প্রবেশ করার কৌশল জানতে কিন্তু বাইরে বেরোনোর কৌশল জানতেন না কারন অভিমন্যু যখন তার মাতৃ গর্ভে ছিলেন তখন তার পিতা অর্জুন এর দ্বারা চক্রবিহুতে প্রবেশ করার কৌশল শিখেছিলেন কিন্তু চক্রবিহু থেকে বেরোনোর কৌশল জানার পূর্বে তার মাতা অর্থাৎ সুভদ্রা ঘুমিয়ে পরেছিল যার ফলে অভিমন্যু চক্রবিহু থেকে বেরোনোর কৌশল শিখতে পারেন নি।আর তাই মহাভারতের যুদ্ধের সময় অভিমন্যুকে মারা জন্যেই চক্রবিহুর রচনা করেছিলেন এবং এই চক্রবিহুতে প্রবেশ করার ফলে কৌরবদের হাতে তার মৃত্যু হয়েছিল।
আসলে অভিমন্যু ১৬ বয়সে মারা যান তার করন হল যে সে ১৬ বছর বয়স পর্যন্তই মর্তলোকে থাকার ভাগ্য নিয়ে জন্মে ছিলেন।কারন অভিমন্যু পূর্ব জন্মে ছিলেন চন্দ্রের দেবতা পুত্র বাচসল্য। চন্দ্র দেবতাকে যখন দেবতারা তার পুত্রকে মনুষ্যরূপে জন্ম নিতে হবে বলেছিলেন তখন চন্দ্র দেবতা তার পুত্রকে মর্তলোকে পাঠাতে রাজি ছিলেন না।অবশেষে যখন রাজি হলেন তখন তিনি বলেছিলেন যে সে তার পুত্রকে নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ ১৬ বছরের জন্যে মর্তলোকে পাঠাবেন।আর তাই অভিমন্যুর ১৬ বছর বয়সে মৃত্যু হয়।