দুর্বলতা কাটাতে ডার্ক চকোলেটের পাশাপাশি আর যে জিনিস গুলি খাবেন

শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সঠিক খাবারের কোনো বিকল্প নেই । তাই লক্ষ্য রাখতে হবে প্রতিদিনের খাবার যেন স্বাস্থ্যকর হয়। বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দুধ, ডিম, তাজা শাক-সবজি, ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখলে ও নিয়ম মতোন জীবন যাপন করলে শারীরিক দুর্বলতা দুর হয়ে যায়।

তাই দুর্বলতা কাটাতে কিছু খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো- 

  • ডিম:

শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে ডিম সবচেয়ে ভাল খাবার। ডিমে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন এ, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, রিবফ্লেভিন এবং পেন্টথেনিক অ্যাসিড। তাই দেহের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খান।

  • দুধ: 

শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সবচেয়ে ভালো খাবার হল দুধ। দুধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমান প্রাণিজ ফ্যাট যা শারীরিক শক্তির উন্নতি ঘটায় এবং দুধের ক্যালশিয়াম উপাদান যা আমাদের দেহের হাড়কে মজবুত করতে সহায়তা করে। শরীর দুর্বল থাকলে ১ গ্লাস দুধ আর ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। 

  • মধু:

মধু শরীর ও মনের দুর্বলতা দূর করে। এর মধ্যে লৌহ, সিলিকন, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস ও প্রচুর পরিমানে ভিটামিন রয়েছে। তাই শারীরিক শক্তি বাড়াতে প্রত্যেক সপ্তাহে ৩-৪ দিন এক গ্লাস গরম জলে এক টেবিল চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন। এর ফলে শারীরিক দুর্বলতা কেটে যাবে।

  • কলা:

কলাতে আছে ভিটামিন A, B, C, পটাশিয়াম। ভিটামিন বি এবং পটাশিয়াম শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে । আর কলাতে আছে ব্রোমেলিয়ান । যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে । কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা যা শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। 

  • ভিটামিন সি:

শরীরের দুর্বলতা দূর করতে ভিটামিন-সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন-সির অভাব পূরণ করতে বেশি করে টকজাতীয় ফল খেতে হবে। যেমন- কমলা, লেবু, আঙুর ইত্যাদি ফল দৈহিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অনেক উপকারী।

  • সেলেনিয়াম:

সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবারে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো থাকার কারণে ক্লান্তিভাব, নিদ্রাহীনতা ও দুর্বলতা কমাতে সাহায্য করে। এমনকি এ ধরণের খাবারগুলো দীর্ঘমেয়াদি হৃদরোগ থেকেও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবারগুলো হলো-মটর, ডিম, বাদাম, মাশরুম, মসুর ডাল ইত্যাদি।

  • ডার্ক চকলেট:

ডার্ক চটলেট হচ্ছে এমন এক ধরনের চকলেট যা দুধ ও মাখন ছাড়া cocoa solids এবং cocoa butter থেকে তৈরি করা হয়। এতে রয়েছে ফেনিলেথিলামিন (PEA) ও সেরোটোনিন। এগুলো দেহে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।

  • রসুন:

আমাদের দৈনন্দিন খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো রসুন। এই রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি১,নায়াসিন ভিটামিন বি৩, রিবোফ্লাবিন ভিটামিন বি২, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি৯ ও সেলেনিয়াম। একে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক বলা হয়। তাই শরীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে নিয়মিত রসুন খেতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *