ফোঁড়া হলে যদি খুব যন্ত্রণা হয় এবং শক্ত হয়ে হায় তবে এই অবস্থায় তেজপাতা বেটে প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা কমে যাবে। তেজপাতার ব্যবহার

নিউজ ডেস্কঃ তেজপাতা। এমন এক উপকরন যে রান্নায় না দিলেও চলে। আবার দিতেও হয়। অর্থাৎ দুটোই ঠিক। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই পাতা। বিশেষ করে কিছু উপকরন করার ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর একাধিক স্বাস্থ্যকর গুনও রয়েছে পাশাপাশি।

১) অনেক সময় অনেকের ঘন ঘন পিপাসা পায়।সেক্ষেত্রে ১ লিটার জলে ৫ গ্রাম তেজপাতা সিদ্ধ করে আধ লিটার থাকতে নামিয়ে ছেঁকে পিপাসা পেলে ২-৩ বার ঐ জলটা খেতে হবে।

২) চেহারা ফেরাতে ৫-৬ গ্রাম তেজপাতা কুচিয়ে, থেঁতো করে ২ কাপ গরম জলে ১০-১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে ২ বার করে সপ্তাহে খেলে দেহের লাবন্য ফিরে আসবে।

৩) অনেক সময় প্রস্রাবের রঙ রক্তবর্ণ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ৫-৭ গ্রাম তেজপাতা থেঁতো করে ২-৩ কাপ গরম জলে ২ ঘন্ট ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নিয়ে ২-৩ ঘণ্টা অন্তর ২ বার খেলে প্রস্রাবের রঙ সাদা হয়ে যাবে।

৪) সর্দিতে চিৎকার করলে যদি স্বরভঙ্গ হয় তাতে ৫-৭ গ্রাম তেজপাতা থেঁতো করে ৩-৪ বার একটু করে খেলে স্বরভঙ্গ সেরে যাবে।

৫) দাদ হলে তেজপাতা ৫ গ্রাম থেঁতো করে ৪ কাপ জলে সিদ্ধ করে ১ বা ২ কাপ থাকতে নামিয়ে সকালে ও বিকালে এই জলটা খেতে হবে।ঐ জল একটু তুলোতে ভিজিয়ে দাদের জায়গায় মুছে নিতে হবে।

৬) তেজপাতা চন্দনের মত করে বেটে গায়ে মেখে ঘণ্টা খানিক রেখে স্নান করে নিলে গায়ের ময়লা কেটে যাবে এবং ঘামাচি সেরে যাবে। ঘামের দুর্গন্ধ কেটে যাবে।

৭) ফোঁড়া হলে যদি খুব যন্ত্রণা হয় এবং শক্ত হয়ে হায় তবে এই অবস্থায় তেজপাতা বেটে প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা কমে যাবে।

৮) যাদের বেশি ঘাম হয় তারা প্রতিদিন ১ বার করে তেজপাতা বাটা মেখে আধ ঘণ্টা থাকার পর স্নান করে নিলে বেশি ঘাম হওয়াটা কমে যায়।

৯) কয়েকটি তেজপাতা জলে সিদ্ধ করে ছেঁকে ঐ জলে কুলকুচি করলে অরুচি সেরে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *