নিজের সৌন্দর্য বজায় রাখতে কে না চায়। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদেরও দেখা যায় সৌন্দর্য বজায় রাখতে নানা রকম প্রসাধনী ও পার্লার ব্যাবহার করে থাকেন। কিন্তু সত্যি কি অর্থ ব্যয় করে রূপ চর্চা করলেই কি সৌন্দর্য বজায় থাকে। সেটা স্বল্প সময়ের অথিতি। তবে সৌন্দর্য বজায় রাখতে ও বার্ধক্য রুখতে সবচেয়ে জরুরি হলো সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার গ্ৰহণ করা।
১:অলিভ অয়েল:- রান্নায় সয়াবিন বা সরিষার তেলর তুলনায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে শরীরের অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে শরীর সুস্থ থাকলে বার্ধক্য অনেক দেরিতে আসে।
২:টক দই:- দইতে প্রোটিন ও ক্যালশিয়াম থাকার পাশাপাশি শরীরের মেদ ও কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়াও প্রতিদিন নিয়মিত পরিমাণ টক দই খেলে বলিরেখা কম পরে। তাই এটিও একটি বার্ধক্য রোধের একটি খাবার।
৩:ডার্ক চকলেট:- অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট খেলে বার্ধক্য দেরিতে আসে।
৪:সামুদ্রিক মাছ: প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাংস বাদ দিয়ে সামুদ্রিক মাছ রাখলে দীর্ঘদিন যৌবন বজায় রাখতে পারবেন। কারণ লবণাক্ত এই সামুদ্রিক মাঝে প্রোটিনের মাত্রা বেশি থাকায় এটি যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৫:মিষ্টি কুমড়ার বীজ: অনেকেরই অপছন্দ কুমড়ো। কিন্তু জানেন কি কুমড়োর বীজ পুরুষের শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বজায় রাখে এবং যৌবন ধরে রাখার পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়োর বীজে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্যাটি অ্যাসিড পুরুষের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৬:রসুন : শুধুমাত্র যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে না চিকিৎসকদের মতে প্রতিদিন নিয়মিত একটি করে রসুন খেলে শারীরিক বহু সমস্যা সমাধান হয়। কারণ রসুনে উপস্থিত এলিসিন শরীরের ইন্দ্রিয় গুলিতে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দেয় ও শরীর সুস্থ রাখে।
৭:পালং শাক: প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পালং শাক খেলে এটি শরীরের কি রেডিক্যাল ধ্বংস করে দেয় যার ফলে দীর্ঘদিন যৌবন বজায় থাকে। এছাড়াও এই শাকে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়েম, ভিটামিন এবং মিনারেল ।
৮:শাকসবজি : খাদ্য তালিকা থেকে সবুজ শাকসবজি বাদ দিলে একদমই চলবে না। কারণ মানুষের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে ও শরীরে সতেজতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই সবুজ শাকসবজি।
৯:আঙ্গুর: আঙ্গুরেও উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেক্ষেত্রে যৌবন ধরে রাখতেই এক অনবদ্য ভূমিকা পালন করে এই আঙ্গুর।
১০:স্ট্রবেরি : শরীরের ত্বক সতেজ রাখতে ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে স্ট্রবেরি কিংবা ব্ল্যাকবেরি বা কালোজাম। এতে ভিটামিন সি উপস্থিত।
১১:কমলালেবু: শীতের মরসুমে প্রধানত পাওয়া যায় কমলালেবু। সেক্ষেত্রে কমলালেবুতে ভিটামিন সি থাকার কারণে এটি শরীরের ত্বক উজ্জ্বল রাখে এবং বয়সের ছাপ পরতে দেয় না।
১২:গাজর ও টমেটো: শরীর সতেজ রাখতে ও বার্ধক্য দূরে রাখতে জুড়ি নেই গাজর ও টমেটোর। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এমনকি বিটা ক্যারোটিন ও লুটেইন উপস্থিত থাকার কারণে মানুষের শরীর বুরিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে গাজর ও টমেটো।
১৩:কলা: অনেক সময় পটাশিয়ামের অভাবে শরীরের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং বয়সে তুলনায় মানুষকে বেশি বয়স্ক মনে হয়। সে ক্ষেত্রে একটাই খাবার হলো কলা। কারণ কলায় রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। এছাড়াও কলাতে রয়েছে ব্রোমেলিয়ানও। যার যৌন রস উৎপাদন করতে সাহায্য করে ও শরীরের বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
১৪:মধু : এমনিতেই রূপচর্চার অন্যতম উপাদান হল মধু। তাই শুধুমাত্র রূপচর্চার ক্ষেত্রে নয় মধু সেবনেও শরীর সতেজ ও উজ্জ্বল থাকে।
১৫:আমলা: আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমলা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিশেষ করে পুরুষদের শরীরে সতেজতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এই আমলা।