আমরা সব সময় সকল দেবতার আশীর্বাদ কমনা করি।তবে আমরা একটি দেবতার আশীর্বাদ কখনই কমনা করি না।কারন এই দেবতার আশীর্বাদ ফলে আমাদের ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পরলোকের ভাবনা ভাবতে হবে।হয়তো আপনারা বুঝতেই পারছেন যে এখানে যমরাজের কথা বলা হচ্ছে।যাকে আমরা মৃত্যুর দেবতার হিসাবে জানি।তবে আপনারা জানলে হয়ত অবাক হবেন যে আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বহু দেব এবং দেবীর মন্দির আছে।ঠিক তেমনি যমরাজেরও একটি মন্দির আছে।তবে সেটি কোথায় আছে, কি রকম দেখতে সেই মন্দির এবং কি হয় সেখানে জেনে নিন।
মৃত্যুর দেবতার যমরাজের এই মন্দিরটি দিল্লি থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে হিমাচল প্রদেশের চম্বা জেলায় ভারমোর এলাকায় রয়েছে অবস্থিত৷আর এই মন্দিরটির ধর্মেশ্বর মহাদেব মন্দির নামে পরিচিত।এখানকার বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন যে মন্দিরের স্বয়ং যমরাজ বাস করেন এবং তার সাথে মানুষের কাজ কর্মের হিসাব রক্ষক চিত্রগুপ্তও থাকেন।আর কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর এই মন্দিরেই তার আত্মা সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় যমরাজের। এবং সেখানেই বসেই সেই ব্যাক্তির বিচার করেন যমরাজ।এই মন্দিরের রয়েছে চারটি অদৃশ্য দরজা।যা সোনা, রুপো, তামা আর লোহায় তৈরি।আর যমরাজের বিচার শোনার পরে যমদূত এসে ওই ব্যাক্তির কর্মফল অনুযায়ী এই চারটি দরজার একটি দিয়ে আত্মাকে স্বর্গ বা নরকে নিয়ে যায়।
এমনকি ওই মন্দির সম্পর্কে শোনা যায় যে ওই মন্দিরটি নাকি পাহারা দেয় দুটি চার চোখওয়ালা কুকুর,যারা যমরাজেরই পোষ্য এবং মন্দিরের ভিতর নাকি একটি শূন্য প্রকোষ্ঠ রয়েছে। সেখানে নাকি স্বয়ং যমরাজের শাসন চলে।আর এই প্রকোষ্ঠে একবার কেউ প্রবেশ করলে সে আর জীবিত অবস্থায় বেরিয়ে আসে না।
তবে ওই মন্দিরের সত্যিই কি যমরাজ বসবাস করেন কি না তা নিয়ে তেমন কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি।তাই ওই মন্দিরের যমরাজ বসবাস করেন কি বসবাস করেন না এই নিয়ে সংশয় রয়েছে।