উচ্চ রক্তচাপ এবং নিম্ন রক্তচাপকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক সহায়তা করে। ডুমুরের উপকারিতা

নিউজ ডেস্কঃ ডুমুর। সচরাচর না পাওয়া গেলেও এর স্বাদের কারনে বেশ বিখ্যাত। তবে শুধু স্বাদ নয় পাশাপাশি এর প্রচুর গুন ও রয়েছে।

১) ডুমুর পিত্ত আমাশার অসুখ সারিয়ে দেয়।

২) ডুমুরে যথেষ্ট লোহা থাকায় রক্তপিত্ত(স্কার্ভি), রক্তপ্রদর, রক্তপড়া অর্শ, রক্তস্রাব ও রক্তহীনতা(অ্যানিমিয়া) রোগে উপকারী।

৩) কচি ডুমুরের রসে মিছরি মিশিয়ে দিনে দুবার(১ চা চামচ ডুমুরের রস+ অর্ধ চা চামচ মিছরি গুঁড়ো) খেলে মুখ থেকে রক্ত ওঠা বন্ধ হয়। তিন দিন এইভাবে ডুমুরের রস খেতে হবে।

৪)ডুমুর বিভিন্ন চর্মরোগের জন্য খুবই উপকারী। তাই ডুমুরের ছাল জলে সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন-ত্বকের বিবর্ণতা এবং ক্ষত খুব দ্রুত সেরে যায়।এছাড়াও ত্বকের ফাঙ্গাশ জনিত যেকোনো সমস্যয় ডুমুরের সিদ্ধ জল খুবই উপকারী।

৫) আমাশা রোগে ডুমুর পাতার একটি কুড়ি আতপ চালের সঙ্গে চিবিয়ে খেলে রোগের উপশম হয়।এইভাবে তিনদিন খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

৬) ডুমুর আমাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং নিম্ন রক্তচাপকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক সহায়তা করে। ডুমুরের থাকা বেশ কিছু উপকারী খনিজ উপাদান যা আমদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

৭) ডুমুর গাছের ছাল থেঁতো করে মিছরির পানায় মিশিয়ে ভাল করে চটকে ছেঁকে খেতে হবে।প্রতিদিন ২ বেলা ২ চা চামচ করে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে সাদা আমাশা ও রক্ত আমাশা সারবে।

৮) যদি মাথা ঘোরে তাহলে ভাতের পাতে প্রথমে এক চা চামচ দূর্বা ঘাস ভাজা খেয়ে তার পরে বীজ বাদ দিয়ে ডুমুর ভাজা খেলে উপকার হয়।

৯)ডুমুরের ছাল থেঁতো করে জলে সিদ্ধ করে তার সাথে যদি পুদিনার রস মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে আমাদের হজমশক্তি অনেক বেড়ে যায় এবং একই সাথে আমাদের পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পায়।

১০) যজ্ঞ ডুমুরের রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে মেয়েদের প্রদর রোগ সারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *