মুত্র পরিক্ষা করতে হলে খুব ভোরে শয্যাত্যাগের পরে মুত্র নিয়ে একটি কাচেরপাত্রে রাখতে হয়। তারপর ঐ কাচপাত্রস্থিত মুত্রে ২-৩ ফোঁটা সরষের তেল ফেলে ভালো করে নাড়তে হবে বা ঝাঁকাতে হবে।
১) বাতজনিত রোগগ্রস্তের মুত্র পাণ্ডুবর্ণ, শ্যাম, রক্ত, কৃষ্ণ, হলুদ ইত্যাদি নানা বর্ণযুক্ত হতে পারে। ঐ মুত্রে সরষের তেলের ফোঁটা নিক্ষেপ করা মাত্র মুত্রবিম্ব উপরের দিকে উঠতে থাকে।
২)বাত- শ্লেষ্মা প্রকুপিত রোগীর মুত্রে সরষে তেল নিক্ষেপ করলে সরষের তেল ও মুত্র একত্রে মিশে কাঁজির বর্ণ ধারন করে।
৩) পিত্ত প্রকুপিত ব্যাক্তির মুত্র সাধারণত রক্তাভ হয়।এতে সরষের তেল নিক্ষেপ করলে বুদবুদ সৃষ্টি হয়।
৪)পিত্ত-শ্লেষ্মা প্রকুপিত ব্যাক্তির মুত্র পাণ্ডুবর্ণের হয়ে থাকে।
৫)বাত, শ্লেষ্মা ও পিত্ত ঐ ত্রিদোষযুক্ত ব্যাক্তির মুত্র হয় রক্তবর্ণের হবে, নতুবা কালো বর্ণের হবে।
৬) জ্বর রোগগ্রস্ত রোগীর মুত্র সাধারণত আখের রসের মতো হয়ে থাকে। পুরানো জ্বর প্রভৃতি রোগগ্রস্ত রোগীর মুত্র ছাগলের মূত্রের মতো হয়।
৭)পিত্ত শ্লেষ্মা বিকারযুক্ত রোগীর মুত্র বেশ কিছুক্ষণ কাচেরপাত্রে ধরে রাখলে ঊর্ধ্বভাগের মূত্র হরিদ্রাভ এবং নিন্মভাগের মূত্র রক্তসদৃশ হতে দেখা যায়।
৮)বাত শ্লেষ্মা বিকারযুক্ত রোগীর মূত্র বেশ কিছুক্ষণ ধরে রাখলে মধ্যভাগের মূত্র কৃষ্ণবর্ণ এবং ঊর্ধ্বভাগের মূত্র শ্বেতবর্ণ হতে দেখা যায়।
৯)ক্ষয় রোগের মূত্র সাধারণত কৃষ্ণবর্ণের হয়ে থাকে।