নিউজ ডেস্কঃ সরিষার তেল। বাঙালির হেঁসেলে বেশিরভাগ রান্নার জন্য ব্যবহার করা হয় এই তেল। বিশেষ করে সুস্বাদু কোনও কিছু রান্নার জন্য বিশেষভাবে রান্না করা হয়ে থাকে।
১. ত্বককে উজ্জ্বল করতে পারেঃ
সরিষার তেল ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বল করতে পারে।তাই বেসন, দই, সরিষার তেল ও কয়েকফোঁটা লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে মিশ্রণটি আপনার ত্বকে লাগানের পর ১০-১৫ মিনিট ত্বকে রেখে দিন তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এটি সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহার করুন দেখবেন ত্বক উজ্জ্বল হবে এবং ত্বকে দাগ দূর হবে।
২. প্রাকৃতিক সানস্ক্রিম
সরিষার তেলে রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই যা একটি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিম হিসেবে কাজ করে থাকে।এটি ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ থেকে ত্বককে সুরক্ষা দিতে পারে। তাই এই তেল স্কিন ক্যান্সার ও প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।এছাড়াও ভিটামিন ই বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর করতেও সাহায্য করে।তাই সানস্ক্রিম লোশন হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু সরিষার তেল যেহেতু ঘন তাই ত্বকে লাগানোর পর ভালো ভাবে ঘষে নিবেন যাতে অতিরিক্ত না থাকে ত্বকে না হলে ত্বকে অতিরিক্ত ধুলাবালি জমবে তাতে খারাপ।
৩. ঠোঁটের যত্নে
ঠোঁটের যত্নে সরিষার তেলে ব্যবহার অতুলনীয়।তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক-দুই ফোঁটা সরিষার তেল আপনার নাভির মধ্যে দিন।এতে ঠোঁট সুন্দর এবং কোমল হবে ঠোঁট শুকাবে না বা ফাটবেও না।।
৪. চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
সরিষার তেলে রয়েছেনানান ধরনের পুষ্টি উপাদান যেমন- ভিটামিন , খনিজ,উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন,আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি এসিড ও ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি।যা চুলের যত্নে বিশেষভাবে সাহায্য করে থেকে।যেমন- চুলের বৃদ্ধি, অকালে চুল সাদা হওয়া ও চুল পড়া ইত্যাদি রোধ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিরাতে চুলে সরিষার তেল মালিশ করে লাগালে চুল কালো হয়।
৫. ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেঃ
সরিষার তেল ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।কারন সরিষার তেল পাকস্থলীর পাচক রস উদ্দীপিত করার মাধ্যমে ক্ষুধা বৃদ্ধি করে।তাই ক্ষুধার সমস্যা যারা ভোগেন তারা রান্নায় সরিষায় তেল ব্যবহার করতে পারেন।
৬.কার্ডিওভাস্কুলার উপকারিতা
সরিষার তেল কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।কারন সরিষার তেল রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটে যা কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে আর এরফলেই কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে সরিষার তেল।
৭. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেঃ
সরিষার তেলে ক্যান্সারে প্রতিরোধে সাহায্য করে।কারন সরিষার তেলে রয়েছে গ্লুকোসিনোলেট নামক এক উপাদান যা ক্যান্সারজনিত টিউমারের গঠন প্রতিরোধে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে।এছাড়াও এতে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট কোলোরেক্টাল ও গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল যা ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা প্রদান করতে সাহায্য করে।তাই সরিষার তেল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।