ভিটামিন বি-১২ ঘাটতির শিকার ভারতীয়রা!

নিউজ ডেস্কঃ স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ আজকাল অনেকেই নিরামিষ আহারের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। কিন্তু, পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, উত্তর ভারতের ৪৭ শতাংশ মানুষ ভিটামিন বি-১২ ঘাটতিতে ভুগছেন। বেশিরভাগ নিরামিষাশী মানুষ বয়ঃসন্ধিকালে ও প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় ভিটামিন বি-১২ ঘাটতির শিকার হন তাদের খাদ্যে প্রানিজ প্রোটিনের অভাবের কারণে।

ভারতে ৩০ শতাংশ মানুষ নিরামিষ খাদ্যে অভ্যস্ত। তাহলে ঘাটতির বিষয়টি কীভাবে জানা যাবে? ভিটামিন বি-১২ ঘাটতির ফলে শুধু রক্তাল্পতা নয়,  দুর্বলতা এবং প্লেটলেট ও ব্লাড সেলের সংখ্যা হ্রাস পাওয়া, সেইসঙ্গে আরবিসি কমে যাওয়া জনিত কারণে জনডিস দেখা দিতে পারে। একে চিকিৎসাবিজ্ঞানে মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া বলা হয়।

এনআইএম-এর সুপারিশ হল একজন প্রাপ্তবয়স্কমানুষকে প্রতিদিন ২.৪এমসিজি/কেজি ভিটামিন বি-১২ গ্রহণ করতে হবে। নিরামিষাশীদের ক্ষেত্রে ঘাটতি পূরণের জন্য ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা দরকার।  ডা. চক্রবর্তী বলেন, আজকাল ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ প্ল্যান্ট মিল্ক ও সিরিয়াল বিশ্বের সর্বত্র পাওয়া যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় ভারতের বাজারে এসব তেমনভাবে উপলব্ধ নয়।

স্বাভাবিক খাদ্যে ভিটামিন বি-১২ খুবই সামান্য পরিমাণে মেলে। জানান, স্বাভাবিক খাদ্য থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি-১২ পেতে হলে কমপক্ষে ৫০০মিলি গরুর দুধ গ্রহণ করা উচিত। কিন্তু দৈনিক ভিত্তিতে একজন ভারতীয় গড়ে এর অর্ধেক পরিমাণ অবধি গ্রহণ করতে পারেন। এই ঘাটতি পূরণের জন্য দুধের পরিপূরক হিসেবে সয় মিল্ক বা দই খেতে হবে।

সবমিলিয়ে বলা যায়, নিরামিষাশী হওয়ার পক্ষে যতকিছুই বলা হোকনা কেন, সাধারন মানুষের স্বার্থে এর অসুবিধাগুলিও এড়িয়ে গেলে চলবে না। তাই নিরামিষাশী হওয়ার আগে পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *