ওয়েব ডেস্কঃ মাছে ভাতে বাঙালি। শব্দটা জানেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল। ভাত বা রুটি ছাড়া বাঙালি ভাবাই যায়না। আবার শাকাহারি বাঙালিও আছে। যাদের পাতে একটু শাক না পরলে হয়না। তবে জানেন কি যারা শাক বা ফলমূল খেয়ে থাকেন তাদের সুবিধা কোথায়? বা তারা নিজেরাই অজান্তে নিজেদের শরীরের সাহায্য করছেন।
আমাদের শরীর প্রধানত ক্ষার ধর্মাবলম্বী। সুতরাং এমন সব খাদ্য খেতে হয় যাতে মোটের উপর শরীরের ক্ষারত্ব বজায় থাকে। কিন্তু দ্রব্যমাত্রেরই,এমনকি চিনি মিছরিরও অম্লরস আছে, এজন্য এমন সব দ্রব্য একসঙ্গে খেতে হয় যাতে অম্লরস নষ্ট হতে পারে। একটি উদাহরন দিলেই বিষয়টি বোঝবার পক্ষে সুবিধা হবে।
আমরা ভাত বা রুটি খাই, এগুলো খেতে কিছুমাত্র টক স্বাদও লাগে না, কিন্তু পেটের ভিতর গিয়ে তা থেকে যেমন শর্করা রস উৎপন্ন হয় তেমনই অম্লরসও উৎপন্ন হয়ে থাকে। অথচ আমাদের শর্করা রসটুকুই প্রয়োজন। কাজেই ফলমূল, তরি-তরকারি প্রভৃতি খেয়ে ওই অম্লরসের ভাগটুকুকে কাটিয়ে নিই এবং সেই সঙ্গে লবণ প্রভৃতিও সংগ্রহ করি।
কোন দ্রব্যে অম্লরস বেশি বা ক্ষার বেশি উৎপন্ন হয় তার সংক্ষিপ্ত তালিকা এই চাল,ডাল,মাছ, মাংস,ডিম,তেল এরা পরিপাকের পর অম্লরস উৎপাদন করে। দুধ,দই,ঘোল,লেবু,কমলা,কলাম আলু মুলা, সিম,বেগুন,পটল,কপি প্রভৃতি ক্ষার উৎপাদন করে।
ক্ষার পরিণামী দ্রব্যের উপর যত বেশি নির্ভর করতে পারা যায় ততই ভালো, তবে কোন শ্রেণীর খাদ্যেই এককভাবে শরীর রক্ষা করতে পারে না তাই দু শ্রেণীর খাদ্যের দরকার। শরীর ক্ষার ধর্মাবলম্বী বটে, কিন্তু তাই বলে এর আধিক্য হওয়াও ভালো নয়। ক্ষারের অধিক্য ঘটলে শরীরে নানা দোষের উৎপত্তি হয়। সেজন্য কিছু অম্লরসতপাদন দ্রব্যও রোজ খেতে বলা হয়ে থাকে।