সকালের ব্রেকফাস্ট ঠিকঠাক করে করুন। কি কি টিপস মেনে চলবেন নিজেকে ঠিক রাখতে? 

শরীর ঠিক রাখতে ও কর্মদক্ষতা ধরে রাখার জন্য আমাদের প্রয়োজন ৮ ঘণ্টা ঘুম। কিন্তু, কেউ কেউ আছেন যাদের অল্প ঘুমালেও চলে। 

কি কি টিপস মেনে চলবেন নিজেকে ঠিক রাখতে? 

চলুন তা দেখে নেওয়া যাক-

  • সকালে যদি আপনার ব্যায়াম বা হাঁটার অভ্যাস থাকে তাহলে সেটি কোনোভাবেই বাদ দেবেন না। আর যদি সেরকম অভ্যাস না থাকে তাহলেও চেষ্টা করুন হালকা ব্যায়াম করতে। ব্যায়াম আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় এবং প্রয়োজনীয় হরমোন ও এন্ডরফিন রিলিজ করতে সাহায্য করে, যা আপনার শরীরের এনার্জি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
  • শীতেরকাল ছাড়া ঠাণ্ডা জলে স্নান করুন। আর শীতের সময়ে তুলনামূলক কম গরম জল ব্যবহার করুন। ঠাণ্ডা জলে স্নান করলে ব্রেনে অক্সিজেন সাপ্লাই বৃদ্ধি পায়, ব্রেন ফাংশন ভালো রাখে। এতে করে অনেক বেশি ফ্রেশ লাগে এবং চিন্তার লজিক ঠিক থাকে।
  • সকালের ব্রেকফাস্ট ঠিকঠাক করে করুন । পুষ্টিকর খাবার খান। মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না, এমনকি বেশি মিষ্টি ফল (কলা) ও খাবেন না। যতটা সম্ভব কম শর্করা খান। কর্ণফ্লেক্স, টোষ্ট খেতে পারেন তবে ভাত বা খিচুড়ি খাবেন না। দুধ বা টক দই, পনির খেতে পারেন। এগুলো আপনাকে একটা ভরপেট অনুভুতি দেবে কিন্তু ক্লান্তি আনবে না। খেতে পারেন এক মুঠো বাদাম, তাজা সবজির এক বাটি স্যালাড। 
  • ঘুম কাটাতে বার বার এক সাথে ২-৩ কাপ চা বা কফি খেতে যাবেন না, এতে ঘুম কাটার পরিবর্তে আরও ক্লান্তি চেপে বসতে পারে। প্রতি ৪ ঘণ্টায় এক কাপ চা বা কফিই যথেষ্ট। অথবা খেতে পারেন এক টুকরো ডার্ক চকলেট। তবে যাই খান তা যেন অতিরিক্ত মিষ্টি না হয়। একেবারে চিনি ছাড়া খেতে পারলে ভালো হয়, কিন্তু সেটা সম্ভব না হলে খুব অল্প মিষ্টি দিয়ে খান।
  • অফিসে বা ক্লাসে যাওয়ার পথে ফাস্ট বীটের গান শুনতে পারেন। গানেরগতি ব্রেন ওয়েভ বাড়ায়, যা নার্ভ সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে।
  • দুপুরের খাবারে রাখুন প্রোটিন সমৃদ্ধ ও লো ফ্যাট খাবার। প্রোটিন ব্রেনে অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে, যা কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ায়। 
  • একটানা চেয়ারে বসে না থেকে হাঁটা চলা করুন। খাবার অর্ডার না করে নিজেই গিয়ে নিয়ে আসুন।লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে উঠুন।
  • খুব ক্লান্ত লাগলে সহজ ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন। লম্বা শ্বাস নিয়ে ৩ সেকেন্ড ধরে রাখুন, তারপর আস্তে আস্তে ছেড়ে দিন। এতে ব্রেনে এক্সট্রা এনার্জি তৈরি হবে।
  • ফ্রুট জুস খান। উজ্জ্বল আলোতে কাজ করুন। দিনের শেষে অল্প হাঁটুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *