২৬ জানুয়ারি এবং ১৫ অগস্ট এই দুটিদিনে মাহাত্ম্য যেমন আলাদা ঠিক সেই রকমই এই দুটি দিনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পদ্ধতিও আলাদা। ২৬ জানুয়ারি অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পতাকা উন্মোচন করা হয় এবং ১৫ অগস্ট অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা উত্তোলন করা। নিশ্চয় ভাবছেন যে পতাকা উত্তোলন এবং উন্মোচন করার মধ্যে পার্থক্য এবং কেনই বা আলাদা পদ্ধতিতে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকাকে?
১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট এই দিনটিতে ভারত মুক্তিলাভ করেছিল ব্রিটিশ শাসন থেকে। পরাধীনতা ত্যাগ করে গড়ে উঠেছিল স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে। এই দিনে ব্রিটিশ ইউনিয়ন জ্যাক নামিয়ে উত্তোলন করা হয়েছিল ভারতের তেরঙ্গা পতাকা। এরপর থেকে প্রতিবছর এই দিনে জাতীয় পতাকা নীচ (মাটি স্পর্শ নয়) থেকে উপর পর্যন্ত তোলা হয়। ইংরেজিতে স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলনকে বলা হয় ‘Hoist’ এবং বাংলাতে বলা হয় ‘উত্তোলন’। অন্যদিকে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি এই দিনটিতে ভারতে সংবিধান কার্যকর করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্টই ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গিয়েছে যার ফলে সেই দিনে ভারতের তেরঙ্গা পতাকা উপরেই উড়ছিল। তাই এই দিনটিতে পতাকা উত্তোলন করা হয় না পতাকাটি উন্মোচন করা হয়। সেইজন্যই এই দিনটিতে একদম উপরেই বাঁধা থাকে জাতীয় পতাকা। নীচে নামানো হয় না। শুধু জাতীয় পতাকাটি উপরে ভাঁজ করা অবস্থায় থাকে এবং নীচ থেকে টেনে পতাকাটির বাধনের ফাঁস খুলে মুক্ত করে দেওয়া হয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের পতাকা উত্তোলনকে বলা হয় ‘Unfurl’ এবং বাংলাতে বলা হয় ‘উন্মোচন’।
তাই ২৬ জানুয়ারি অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পতাকা উন্মোচন করা হয় এবং ১৫ অগস্ট অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা উত্তোলন করা। তবে এই দুইদিনে পতাকা উত্তোলনের পর জাতীয় সঙ্গীত বাধ্যতামূলক।